প্রচ্ছদ সারাদেশ পিরোজপুরে কোস্ট গার্ডের গুলিতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ

পিরোজপুরে কোস্ট গার্ডের গুলিতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ

পিরোজপুর প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় কোস্ট গার্ডের গুলিতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জেলে আহত হয়েছেন।

পিরোজপুরের বলেশ্বর নদে মঙ্গলবার দিনভর জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় বিশেষ অভিযানে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় তুষখালী নদীর মোহনায় জাল আটকের সময় অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তা, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলেরা হামলার চেষ্টা চালায়।

এ সময় কোস্টগার্ড সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পরে আত্মরক্ষার্থে ১৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা গ্রামের জেলে মোতালেব হাং (৬০), তার ছেলে শাহীন হাং (২৫) ও একই গ্রামের মৃত আ. খালেকের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৬০) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হাজেরা বেগমকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।

এছাড়া মোতালেব ও শাহীনকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।ভাণ্ডারিয়ার তেলিখালী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন হাওলাদার জানান, কোস্টগার্ড নদীর তীরে রাখা জাল আটক করতে গেলে স্থানীয় জেলেরা বাধা দেয়। এ সময় কোস্টগার্ড জেলেদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আরও সাতজন জেলে আহত হয়েছেন।

এর আগে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মঠবাড়িয়া উপজেলার বলেশ্বর নদের তুলাতলা, ছোট মাছুয়া, তুষখালীর মোহনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নদে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, নয়টি বেহেন্ধি জাল ও দুটি বেড়া জালসহ অন্যান্য সরমঞ্জাদি উদ্ধার করে। যার অনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা।

পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আ. বারী জানান, কোস্টগার্ডের ওপর জেলেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, জেলেদের হামলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার আবুল কাসেম আহত হয়। সরকারি কাজে বাধা ও কর্মচারী আহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বলেশ্বর নদে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, নয়টি বেহেন্ধি জাল ও দুটি বেড়া জালসহ অন্যান্য সরমঞ্জাদি উদ্ধার করে তেলিখালী লঞ্চঘাট সংলগ্ন চরে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।