প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ পাল্টে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের দৃশ্যপট

পাল্টে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের দৃশ্যপট

কামরুল হাসান খান: পাল্টে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের দৃশ্যপট। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটকে আধুনিকায়ন ,পদ্মার তীরবর্তী পাটুরিয়ায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সৌন্দর্য বর্ধনে আরিচায় পর্যটন অঞ্চল, ঘিওরে ইকো-পার্ক প্রকল্প,উন্নয়নশীল দেশের অংশ হিসেবে বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলসহ আরিচার আলোকদিয়া চরে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা  জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
এছাড়া,  দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অংশ হিসেবে দূর্গম চরাঞ্চলে  সোলার প্লান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত চুরান্ত করেছে সরকার।
অপর দিকে, শিবালয় এবং দৌলতপুরে ভাঙ্গনরোধে নদী শাসন প্রকল্প, ঘিওরে জেলা পরিষদ টাওয়ার নির্মান, যুব উন্নয়ন কমপ্লেক্স নির্মান, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান প্রকল্প, শিক্ষার মানোন্নয়নে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরন ও শতাধিক  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মান,বরংগাইল-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংস্কার, মহাদেবপুর-ঝিটকা- সড়ক,  মাইলাগী – ধূলন্ডী সড়কসহ শতাধিক কি.মি নতুন রাস্তা পাকাকরন প্রকল্প বাস্তবায়ন,
ঘিওরে  কালীগঙ্গা ও ইছামতি নদীতে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক নির্মান, জিয়নপুর- ঘিওর সড়কের  খলসী ও কুস্তায় বাইপাস সড়ক নির্মান, বাস্তুহারা ও নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারকে পুনর্বাসন করতে শিবালয় ও দৌলতপুরের চরাঞ্চলে ৩টি আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মান, চরাঞ্চলকে অাধুনিকায়নে একাধিক হাট-বাজারের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল স্থাপন ছাড়াও  এ নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায়  প্রক্রিয়াধীন রয়েছে  প্রায় হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে এলাকার জীবন যাত্রার মান।
 বিগত সরকার আমলে ব্যাপক সম্ভাবনাময় দেশের বৃহত্তর এ বন্দর নগরী এলাকার উন্নয়নে তেমন
কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেনি।
রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নেয়া হয়নি বন্দর নগরী এলাকায়  তেমন কোন স্থায়ী ব্যবস্থা।
 বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক ক্রিকেটার এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহেষ্পদ ও আস্থাভাজন হওয়ায় এই এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অতীব সংবেদনশীল।তাই জাতির জনকের স্বপ্ন পুরনের অংশ হিসেবে এ অঞ্চলে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে বাচামারা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, বিগত সময়ে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল। কর্মজীবী,শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ নানাবিধ পেশার মানুষের জেলা সদরের যেতে  প্রায় ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগতো। বর্তমান সরকারের আদলে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। সরকারের এমন উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা অব্যাহত থাকলে জনজীবন আরো সহজতর হবে।
বাঘুটিয়া গ্রামের এক ক্ষুদে ব্যবসায়ী জসীম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের কারনেই আমরা চরের মানুষ আর নিজেকে অসহায় মনে করি না। দিনে শহরে যাই ব্যবসায়ীক কাজে- কাজ শেষে অল্প সময়ের মধ্যেই নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারি। স্বাধীনতার পর আইনের  এমন সুশাসন আর কারো আমলেই ছিল না,যা এই সরকার আমাগো দিছে।
আলোকদিয়ার চর গ্রামের করিমন বেওয়া বলেন, শেখ হাসিনার জন্যেই এখনো বাইচা আছি। আমার পোলার বউয়ের বাচ্চা অওয়ার কথা শুইনা। দুর্জয় এমপি একটা কার্ড দিছে। বউয়ের নাকি এডা মা অওয়ার জন্যে শেখ হাসিনা ট্যাকা দিছে। গরীব মানুষ আমার শুয়ামী নাই। তাই মাসে মাসে আমারেও ট্যাকা দেয়। আমার ভাসুর রেও বুইরা মানুষের ভাতার ট্যাকা দেয়। ইনা মন্ডলের এর একটা ল্যাংরা মাইয়া আছে তারেও আমাগো মত ট্যাকা দেয়!  আমাগো এলাকায় এখন আর চুর ডাহাইত আসে না। যে আমাগো মায়ের মত দ্যাখে আল্লায় তারে ভালভাবে বাচাইয়া রাখুক।
আশুতোষ বাজবংশী নামের ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা জানান, সরকার ইলিশ মাছের শিকার বন্ধ রাখার সময় আমাগো কাজকর্ম থাকেনা বিধায় সব জেলে পরিবারকে খাবার চাউল দেয়। এমন সরকারই ভাল। নদীতে চলাচলে এখন আর কোন বাধা বিপত্তি নেই। এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। আবার এমপি বাবাজিও সরল মনের মানুষ। যেকোন বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উনি সহজেই সবার সাথে কথা বলে। উনার কোন হিংসা নাই। ভগবান তার মঙ্গল করবে।
ঘিওরের একজন মিনিবাস মালিক আবদুর রাজ্জাক ভিলু বলেন, বিগত সময়ে এলাকার যোগাযোগ অবস্থা তেমন একটা ভাল না থাকায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য ছিল।  রাস্তায় এখন আর এমন সমস্যা নেই বললেই চলে। এমপি দুর্জয়ের কারনে প্রধানমন্ত্রী  এলাকার অনেক উন্নতি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে মানুষের সারা জীবনের চাওয়া পুরন হবে।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: খলিলুর রহমান জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের উন্নয়নের বিষয়ে যেসকল প্রকল্প হাতে নিয়েছেন,তা বাস্তবায়িত হলে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় রুপায়িত হবে উন্নয়নের শহরে । জীবন যাত্রার মান হবে অনেকটাই চোখে পড়ার মত।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  ও জেলা  ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহী উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের বন্দর নগরী এলাকাসহ ওই তিনটি উপজেলায় যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন তা ওই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। ইহা বাস্তবায়িত হলে মানিকগঞ্জেই হবে দেশের  দ্বিতীয় রাজধানী ও উন্নত শহর। মানুষ সন্তুষ্টচিত্তে  বলতে পারি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুর্জয়ের ভূমিকা মনে রাখার মত। বর্তমান সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানাই এমন কোমলমতি, ধৈর্যশীল ও দক্ষ ব্যক্তিকে এ আসনে প্রতিনিধি হিসেবে সনাক্ত করায়।
অপরদিকে,বর্তমান সরকারের এমন পদক্ষেপের প্রতি অতীব সন্তুষ্ট জ্ঞাপন করে বলেন,এসব সম্ভব হচ্ছে মুলত জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আদরের বর্তমান সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কারনে। এ অর্জন ধরে রাখতে দুর্জয়ের দিকে মানবিক দৃষ্টি রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জোড় অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে  সাবেক ক্রিকেটার,বিসিবি’র পরিচালক,মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন,  জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জননেত্রী এ অঞ্চলের পাটুরিয়ায় শেখ হাসিনা  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সৌন্দর্য বর্ধনে আরিচায় পর্যটন অঞ্চল, ঘিওরে ইকো-পার্ক প্রকল্প,উন্নয়নশীল দেশের অংশ হিসেবে বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলসহ আরিচার আলোকদিয়া চরে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা  জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন পদক্ষেপ জনমনে আশার সঞ্জার ঘটিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার জীবন যাত্রার মানোন্নয়নসহ এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন,এমন পদক্ষেপ দলীয় কাঠামো আরো মজবুত করবে এবং কি মানিকগঞ্জ আওয়ামীলীগের শক্ত একটি ঘাটি হিসেবে অাখ্যায়িত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই হয়েছে। আমি মনে করি তিনি জাতির জনকের কন্যা বিধায় দেশের উন্নয়নে এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ সপরিবারে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং উন্নয়নমুলক  এমন পদক্ষেপ গ্রহন করায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন  জানান।