প্রচ্ছদ রাজনীতি তিন সিটিতে আ.লীগের ‘বিজয়’ নিয়ে জয়ের স্ট্যাটাস

তিন সিটিতে আ.লীগের ‘বিজয়’ নিয়ে জয়ের স্ট্যাটাস

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হবে এমন তথ্য উঠে এসেছে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-আরডিসির জরিপে। রোববার (২৯ জুলাই) সকালে জরিপটি প্রকাশ করে ফেইসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জুলাই মাসে একটি স্বাধীন গবেষণা সংস্থা আরডিসি জরিপটি পরিচালনা করে। বরিশালে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ৪৪ শতাংশ, বিএনপি মেয়র প্রার্থী ১৩ দশমিক এক শতাংশ, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ৫৮ শতাংশ, বিএনপি মেয়র প্রার্থী ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং সিলেটে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ৩৩ শতাংশ, বিএনপি মেয়র প্রার্থী ২৮ দশমিক এক শতাংশ ভোট পাবে বলে জরিপে উঠে এসেছে।

এদিকে, সজীব ওয়াজেদ জয় তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বিএনপি জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন শুধু অভিযোগ করে। বিএনপি ভোটকেন্দ্র দখল করতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে জয়, তার দলের নেতাকর্মী, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

জয়ের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘আসন্ন বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে পুরো জুলাই মাস ধরে স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) এর মাধ্যমে আমরা তিনটি জনমত জরিপ করিয়েছি। জরিপগুলোর ফলাফল তুলে ধরছি:

বরিশাল:

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ (আওয়ামী লীগ): ৪৪.০%
মুজিবুর রহমান সরোয়ার (বিএনপি) – ১৩.১%
অন্যান্য প্রার্থীরা: ০.৮%
সিদ্ধান্তহীন: ২৩.৫%
উত্তর দেননি: ১৫.৯%

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১,২৪১ নিবন্ধিত ভোটারের মাঝে এই জরিপটি চালানো হয়।

রাজশাহী

খায়রুজ্জামান লিটন (আওয়ামী লীগ)- ৫৮.০%
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (বিএনপি)- ১৬.৪%
অন্যান্য প্রার্থী: ০.৯%
সিদ্ধান্তহীন: ১২.৩%
উত্তর দেননি: ৯.৬%

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১,২৯৪ নিবন্ধিত ভোটারের মাঝে এই জরিপটি চালানো হয়।

সিলেট

বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান (আওয়ামী লীগ)- ৩৩.০%
আরিফুল হক চৌধুরী (বিএনপি)- ২৮.১%
অন্যান্য প্রার্থী: ১.৩%
সিদ্ধান্তহীন: ২৩.০%
উত্তর দেননি: ১২.৬%

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১,১৯৬ নিবন্ধিত ভোটারের মাঝে এই জরিপটি চালানো হয়।

সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকার নারী ও পুরুষ ভোটারের অনুপাত এবং বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট শহরের ২০১১ সালের শুমারির বয়স সম্পর্কিত তথ্যের বিন্যাস অনুযায়ী, এই জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা থেকে ঠিকানা নিয়ে জরিপের জন্য নমুনা বাছাই করা হয়। এর মধ্য থেকে যারা নিজেদের সিটি কর্পোরেশনের ভোটার বলে নিশ্চিত করেন তাদেরকেই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জরিপে ভুলের মাত্রা (Margin of Error) ধরা হয় +/-২.৫।

গত পাঁচ বছর ধরে আরডিসি-এর মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করছি। তাদের জরিপের পদ্ধতি ও ফলাফল বরাবরই আমার সঠিক মনে হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যেহেতু জরিপগুলো গত এক মাস ধরে করা হয়েছে এবং এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা জোরে শোরে চলেছে। তাই জরিপ ও নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা তফাৎ হতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়ের পথে। যদিও সিলেটে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি, এই মুহূর্তে আসলে কাউকেই বিজয়ী হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

বিএনপি অনেক ধরণের অভিযোগ করতে থাকে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, তাদের কোনো জনপ্রিয়তাই নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই না।

আমি আমাদের দলীয় নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানাবো তারা যেন সজাগ থাকেন। কারণ আমাদের আশঙ্কা বিএনপি ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সেই দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চালাবেন। আপনারা সবাই বিএনপি নেতাদের এইরূপ ষড়যন্ত্রের ফোনালাপ সম্প্রতি শুনেছিলেন গাজীপুর নির্বাচনের সময়। বিএনপির প্রার্থীরা যতই ভোটারদের কাছে যান, ততই তারা বুঝতে পারেন তাদের দল বাংলাদেশের মানুষদের থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের একমাত্র কৌশল।’