প্রচ্ছদ রাজনীতি ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা’

‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে লুটতরাজ, নারী কর্মীদের লাঞ্ছনা এবং মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট বোর্ডের সাতজনের একজন ট্রাস্টি সদস্য। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে হামলা মামলা চলছে, তাতে কি প্রধানমন্ত্রী উপকৃত হচ্ছেন? এতে সরকারকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের হামলা ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও র‍্যাবের অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে র‌্যাবের অভিযান ছিল সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দার মত উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন: ‘হামলা-মামলা সবই হয়েছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।

আপনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এক্ষেত্রে আপনি সরে যাবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগেই অবসর নিয়ে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঢাকা চলে এসেছি। আমি ট্রাস্টি বোর্ডের অবৈতনিক মাত্র। বছরে কয়েকটি মিটিং হয়, সেখানে অংশগ্রহণ করি মাত্র।’

গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি এবং নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই জোট গঠনে বড় ভূমিকা রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এরই মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্যে আন্দোলন করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সম্প্রতি জোটের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার গণভবনে সেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি করে, বিশেষ কোনো সমাধান হয়নি। আন্দোলন চলবে।