দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে চোরাই পথে বস্ত্র আমদানি বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)।
বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ডাইং প্রিন্টিং এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে চলমান বস্ত্র শিল্প খাতে ও সমস্যাসমূহ নিয়ে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে, তারাই চোরাই পথে বস্ত্র আমদানি বন্ধে ভুমিকা রাখবে। আমাদের বাজারে ক্রেতারা বস্ত্রের ভালো মান ও দাম কম যেখানে পাবে সেখান থেকেই নেবে। ক্রেতারাতো অন্য কিছু বুঝবে না। আজকে গার্মেন্টস শিল্পের বনডেস লাইসেন্স অপব্যবহার ও মিসডিকলারেশনের মাধ্যমে আমদানিকৃত বস্ত্র স্থানীয় মোকাম গুলোতে অবাধে বিক্রি করছে। আর এ কারণে লক্ষাধিক দেশীয় তাঁত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং গ্রে বস্ত্রের অভাবের কারনে ডাইং প্রিন্টিং শিল্পের উৎপাদন এখন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে দেশীয় টেক্সটাইল ডাইং প্রিন্টিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে ভ্যাটসহ নানাবিধ আমদানি কর কমিয়ে আনতে হবে। সব কিছুই নিয়মের মধ্যে এনে বস্ত্র শিল্পটাকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। এ ব্যপারে শিল্প মালিকদের সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাধিক সহযোগিতা করা হবে।
এসময় শিল্প খাত দেশের বস্ত্র চাহিদার ১০০ ভাগ চাহিদা ভোক্তার মান ও রুচি অনুযায়ী দিয়ে আসছেন দাবি করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ টেক্সটাইল ডাইং প্রিন্টিং শিল্পের নানা সমস্যা তুলে ধরেন এবং এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে করণীয় বিষয় গুলোর ব্যপারে গুরুত্ব দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বিশেষ করে, গ্যাস ও বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি না করা, সীমান্তবর্তী হাট গুলোতে এখন থেকে ঈদুল আযহা পর্যন্ত শাড়ী, লুঙ্গী, সালোয়ার, কামিজসহ সকল প্রকার বস্ত্র ও তৈরি পোষাক সামগ্রী নিষিদ্ধ করার দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল ডাইং প্রিন্টিং এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ বদরুল হুদা মাসুকসহ টেক্সটাইল ডাইং প্রিন্টিং ব্যবসায়ী শেখ সেলিম আহাম্মেদ, আব্দুল মোমেন মোল্লা, আব্দুল মান্নান মানিক, আব্দুল মান্নান, আলাউদ্দিন মিয়া, সামসুল হক, হাজী আব্দুল কাদির প্রমুখ।