প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ রেলের আগের ঐতিহ্য ফিরে আসছে: রেলমন্ত্রী

রেলের আগের ঐতিহ্য ফিরে আসছে: রেলমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় রেলের সেই আগের ঐতিহ্য ফিরে আসছে জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ নানাভাবে নাশকতা সৃষ্টি করেছিল। কয়েক বছরের মধ্যে রেলের অভাবনীয় পরিবর্তন হবে। রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পগুলো ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। রেলওয়ের সম্পদ যেগুলো বেদখল হয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করে সম্পদে পরিণত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন এ রেলকে একটি আধুনিক সেবায় নিয়ে যাবেন।

বৃস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের খুলশীতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ৫২তম  কুচকাওয়াজ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। রেলওয়েকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এক সময় রেলওয়েতে অনেক ঘাটতি ছিল। বর্তমানে লোকবল নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। এসব লোকবল নিয়োগ হলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, বিগত বিএনপি জোট সরকার রেলকে অবহেলা করেছে। লোকবল ছাটাই করেছে। রেলকে ধ্বংশ করার চেষ্টা করেছিল। বর্তমান সরকার এ রেলওকে আরো অধিক গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ করছে।  তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্তা গড়ে তোলারও নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, রেলকে লাভজনক করতে হলে এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন বাড়াতে হবে। এক সময় রেলের মাধ্যমে ৩০% পণ্য পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা ১২% নেমে এসেছে। আগামীতে যাতে ৩০ % শতাংশ করা যায় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের দশটি মেগা প্রকল্প রয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্পটির মাধ্যমে অধিক সংখ্যক পর্যটক পরিবহন করতে সক্ষম হব। সারাদেশকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, রেল এমন একটা সংস্থা যেখানে আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। এখানে আন্তরিকভাবে অধিক পরিমাণে সেবা দেয়ার কাজও চলছে। এসবময় আরএনবির নতুন সদন্যদের এবং জাতির কল্যাণে আত্মেিয়াগ করার আহবান জানান। তাছাড়া দেশের সব বাহিনীতে নারী সদস্য থাকলেও রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীতে কোনো নারী সদস্য নেই। আগামীতে এ বাহিনীতে নারী সদস্য যুক্ত করা হবে। একই সাথে রেলের নিরাপত্তাবাহিনীর বর্তমানে করুন দশা বিরাজ করছে। তাদের রেশন নেই, থাকার জায়গা নেই। তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) কাজী মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহমেদ, এডিশনাল জিএম সরদার শাহাদাত আলী, নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বাঞ্চলের সাবেক চীফ কমান্ড্যান্ট ফারুক আহমেদ, আমিনুর রশীদ, মন্ত্রী একান্ত সচিব আতিকুর রহমান, সহকারি একান্ত সচিব রাশেদ প্রধান ও মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফ হোসেন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।