প্রচ্ছদ খেলাধুলা চুল ছেটে ফেললেই তো এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি!

চুল ছেটে ফেললেই তো এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি!

চুলাচুলি। শব্দটা বাংলাদেশে খুবই প্রচলিত ও জনপ্রিয়। মহিলাদের ঝগড়া, মারামারিতে চুল টানাটানি অবধারিত! এই চুলাচুলি কাণ্ড গত বুধবার মঞ্চস্থ হলো ফুটবল মাঠেও। না, মেয়েদের ফুটবলে নয়। ছেলেদের ফুটবলে। ঘটনাটা ঘটেছে ইংল্যান্ডের বড় দুই ক্লাব আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচে। ঠিক চুলাচুলি বলা যাবে না। কারণ, বুধবারের চুল টানার লড়াইটা হয়েছে একপক্ষীয়! পেছন থেকে আর্সেনালের তরুণ ফরাসি মিডফিল্ডার মাতেও গুয়েন্ডোজিকে চুল টেনে ধরেন ইউনাইটেডের বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মারুয়ানে ফেলাইনি।

যেনতেন ভাবে টেনে ধরা নয়। একেবারে হেঁচড়া টান দিয়ে পেছনের দিকে চিত করে মাটিতে শুইয়ে ফেলেন মাতেওকে। এক সময় ফেলাইনিরও মাতেওয়ের মতো লম্বা কুকড়ানো ঝাকড়া চুল ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের চুল টানা যন্ত্রণা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতেই কিনা, তিনি নিজের চুল ছেটে ফেলেছেন।

ক্যারিয়ারে বারবার যে যন্ত্রনার শিকার হয়েছেন, বুধবার তিনি নিজেই সেই যন্ত্রণা দিলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে। আসলে বল দখলের লড়াইয়ে পরাজিত হয়েই এই কাণ্ডটা ঘটিয়ে ফেলেন ফেলাইনি! তাকে পেছনে ফেলে বল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মাতেও। উপায়ান্তর না থেকে ৩১ বছর বয়সী ফেলাইনি পেছন থেকে টেনে ধরেন উড়তে থাকা মাতেওয়ের লম্বা কুকড়ানো চুল।

তিনি এতোটাই জোরে টেনে ধরেন যে, সামনের দিকে ধাবমান মাতেও উল্টো পেছন দিকে চিত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেরও চুম্বক অংশ ছিল ওই চুল টানার ঘটনা। আর্সেনাল কোচ উনাই আমরিকে সরাসরিই চুল টানা কাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।

আর্সেনালের স্প্যানিশ কোচ বিষয়টি নিয়ে রসিকতাই করেছেন। হাসতে হাসতে নিজ শিষ্যকেই পরামর্শ দিয়েছেন চুল ছেটে ফেলার! আর শিষ্যকে চুল ছেটে ফেলার পরামর্শ দিতে গিয়ে আর্সেনাল কোচ উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন ফেলাইনিকেই, ‘আমি যখন খেলোয়াড় ছিলাম, ওই সময়ে এমন ঘটনা ছিল লজ্জার। আজকের দিনে মাঠে পুরো ৯০ মিনিটে যা কিছুই ঘটে, ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে। এটা মোটেই ভালো উদাহরণ নয়। এ জন্য তারা দুজনেই কার্ড পেতে পারত। সবচেয়ে ভালো হবে, যদি সামনের ম্যাচের আগেই মাতেও চুল ছেটে ফেলে। তাহলেই এই সমস্যা শেষ! ঠিক ফেলাইনির মতো!’

তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আর্সেনাল কোচ মাতেওয়ের লম্বা চুল রাখাটা পছন্দ করেন না। তিনি সরাসরি মাতেওকে চুল ছেটে ফেলার নির্দেশও দেবেন না, ‘না, আমি বরং লম্বা চুলের খেলোয়াড়দের অনেক সম্মান করি!’