প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ গাজীপুরে ‘জেএমবির আস্তানা’ ঘিরে পুলিশের অভিযান চলছে

গাজীপুরে ‘জেএমবির আস্তানা’ ঘিরে পুলিশের অভিযান চলছে

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনায় জেএমবির আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এলআইসি শাখা, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও বগুড়া জেলা পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। এই বাড়িতে জেএমবির চার-পাঁচজন সদস্য অবস্থান করছে বলেও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র আরও জানায়, ওই ‘আস্তানায়’ অস্ত্র ও বিস্ফোরক রয়েছে। এ জন্য ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও মাওনায় গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি আবদুল মান্নান, ‘আমরা অভিযানে আছি। অভিযানে শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’

এদিকে গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাওনার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহমান (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সেখান থেকে তিনটি পিস্তল ও চারটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক রহমানের বাড়ি দিনাজপুরের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামে।

রবিবার (২৪ জুন) ভোরে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (মাওনা আলহেরা হাসপাতাল) সংলগ্ন ওই বাড়িতে ঢাকা থেকে যাওয়া পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালান।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার রহমতুল্লাহ চৌধুরী ও কাউন্টার টেরোরিজেমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবিবের নেতৃত্বে একটি টিম দোতলা বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান রুবেল মিয়া ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল আমিনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আবদুর রহমানের ঘরে পানি ছিটিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। তারা ধারণা করছেন, তিনটি বোমা নিষ্ক্রীয় করা হয়েছে।

বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে ঢাকা পুলিশ সদর দফতর থেকে আসা একদল পুলিশ তার বাসার নিচে অবস্থান নেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) পরিচয়ে তার মুঠোফোনে কল দিয়ে বাসার নিচে নামতে বলেন। পরে নিচতলার ঘর তল্লাশি করার কথা বলেন এবং তাকে দোতলায় চলে যেতে বলেন। এক ঘণ্টা তল্লাশি শেষে সকাল ৫টায় আবার তাকে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় তিনি গিয়ে দেখেন পুলিশ তার ভাড়াটিয়া রহমানকে আটক করেছে। এছাড়া তার ঘর থেকে তিনটি পিস্তল ও চারটি বোমা পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। বোমাগুলো ভাড়াটিয়া ঘরের টেবিলের ড্রয়ারে রেখেছেন বলে জানান। ঢাকা থেকে পুলিশ এসে বোমা নিষ্ক্রিয় করবেন বলেও পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাকে বলে গেছেন।

তিনি আরও জানান, আব্দুর রহমান স্ত্রী শামসুন্নাহারকে নিয়ে দুই মাস আগে নিচতলার একটি ঘর ভাড়া নেন। তিনি প্রাইভেট কার চালান বলে জানিয়েছিলেন।