প্রচ্ছদ আইন আদালত গণধর্ষণের ঘটনা কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

গণধর্ষণের ঘটনা কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

সিলেট এমসি কলেজে গৃহবধু গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন। এসময় কলেজ প্রধানের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনায় করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন আইনজীবী হাফিজ মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন।

এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। যে ছয়জনের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

এই ছয়জন হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব-৯। এদের মধ্যে ছয়জনের পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল হাসান, এজাহারভুক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিন।