প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ খেলার মাঠ থেকে ভোটের মাঠে মাশরাফি

খেলার মাঠ থেকে ভোটের মাঠে মাশরাফি

মাশরাফি বিন মর্তুজা। একটি ভালোবাসার নাম। একটি অদম্য লড়াইয়ের নাম। অনন্য এক ব্যক্তিত্ব দিয়ে ষোল কোটি বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক নৌকা প্রতীক নিয়ে নড়াইল-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই খবর ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছে। কিন্তু খেলা আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে এতদিন নির্বাচনের প্রচারণায় নামতে পারেননি। আজকেই প্রথম আক্ষরিক অর্থে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। আর প্রচারণার শুরুতেই হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন মাশরাফি।আজ শনিবার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ঢাকা থেকে নড়াইল যান বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই আইকন। তাই জেলার লোহাগড়া উপজেলার কালনাঘাট থেকে নড়াইল শহর পর্যন্ত রাস্তার দুধারে ছিল হাজার হাজার নারী-পুরুষের অপেক্ষা।বিশেষ করে মাশরাফি ভক্তদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। সবাই চায় মাশরাফিকে একনজর দেখতে। এর আগেও মাশরাফিকে নড়াইলের মানুষ দেখেছে। এবার এ জেলার মানুষ তাকে সাদরে গ্রহণ করেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর  এই প্রথম তিনি নড়াইলে আসেন। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর তিনি (মাশরাফি) ঢাকার সুধাসদন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোহাগড়া-নড়াইলবাসীর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছিলেন।শনিবার সকালে মাশরাফি ঢাকা থেকে সড়কপথে কালনাঘাট এবং লোহাগড়া হয়ে নড়াইল পৌঁছান। মাশরাফির আগমনের খবর শুনে সকাল থেকে শত শত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বিভিন্ন যানবাহনে এমনকি পায়ে হেঁটে মাশরাফি ভক্তরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কালনাঘাট পৌঁছান। অনেক অপেক্ষার পর মাশরাফি বেলা আড়াইটার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির কালনাঘাটে পৌঁছান।বিশেষভাবে সজ্জিত নৌকায় করে মধুমতি নদী পার হন তিনি।আওয়ামী লীগের আয়োজনে লোহাগড়া পাড়ের কালনাঘাটে স্থাপিত মঞ্চে অপেক্ষমাণ জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি।এসময় মাশরাফি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমার প্রতীক নৌকা। এই নৌকা প্রতীকে আপনারা আমাকে যোগ্য মনে করলে ইনশাআল্লা ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।জয়বাংলা- জয়বঙ্গবন্ধু বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।এসময় কালনাঘাটে মাশরাফির পিতা গোলাম মোর্তজা স্বপন,  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন, লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সদর উদ্দিন শামীম, মুন্সী শাহীন আহম্মেদ ও মাসুম।পরে সন্ধ্যায় নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্নিমালের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন মাশরাফি।