শিশুটির লাল জার্সিতে লেখা ছিল ‘সাত’ নম্বর এবং রোনালদো। আসল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দেখতে পেয়েই দু’হাত তুলে ছুটে গেল সে। বাধা দেয়নি কেউ। পর্তুগীজ মহাতারকা কিছুটা গম্ভীর হয়েই পিছন ফিরে খুদে ভক্তকে দেখতে পান। মুহূর্তে তারকার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন রোনালদো।
শনিবার লিসবনের বিমানবন্দরে পর্তুগাল দল বিশ্বকাপ খেলার জন্য তখন রাশিয়াগামী বিমানে উঠতে যাচ্ছে। তখনই দেখা গেল এমন আবেগপূর্ণ দৃশ্য। রোনালদোর সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে, তার স্নেহ এবং আদর পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়ে শিশুটি।
আনন্দে কেঁদে ফেলে সে। তখন দেখা যায়, রোনালদো বার বার তার পিঠে হাত দিয়ে, জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাশে দাঁড়ানো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীরাও পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দেখতে থাকেন। রোনালদো হাসিমুখে তার খুদে ভক্তকে অটোগ্রাফও দেন।
বিমানবন্দরে সি আর সেভেন এবং তার ভক্তের মধ্যে এই আবেগপ্রবণ সাক্ষাৎ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমেও। রোনালদো রাশিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরেই সেই বাচ্চার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেন সাংবাদিকরা।
মা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের জাতীয় দলকে আমার ছেলে খুব ভালোবাসে। তার উপর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে যেতে পেরে আর অটোগ্রাফ নিয়ে আনন্দে কেঁদেই ফেলেছিল।
ইউরো ২০১৬ জয়ের প্রতিজ্ঞা ও প্রত্যয় নিয়েই ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল শনিবার রাশিয়ার বিমানে উঠে। দলের প্রত্যেকেই ছিলেন সুসজ্জিত। রোনালদোকে ভীষণই সুন্দর দেখাচ্ছিল বলেও অনেকে টুইটারে মন্তব্য করতে থাকেন। সেই সঙ্গে অন্যদের আশা, সুন্দর রোনালদোর কাছ থেকে এবার সুন্দর ফুটবল উপহার পাওয়া যাবে।
বিমানবন্দরে রোনালদো, বেনার্দো সিলভা, জেলসন মার্টিন্সদের বিদায় জানাতে প্রচুর মানুষের ভিড়ও হয়েছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্তুগাল আর স্পেন রয়েছে একই গ্রুপে। প্রথম ম্যাচেই রোনালদোরা খেলবেন ইনিয়েস্তাদের বিরুদ্ধে।
