প্রচ্ছদ রাজনীতি খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করার জন্য ক্ষমা চাইলে সংলাপ: সেতুমন্ত্রী

খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করার জন্য ক্ষমা চাইলে সংলাপ: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করার জন্য ক্ষমা না চাইলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কাদের এ মন্তব্য করেন। জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ।

আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মৃত্যুদিনে যারা কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করে তাদের সাথে কীভাবে সংলাপ হবে?

খালেদা জিয়ার জন্মদিবস প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তাঁর কয়টা জন্মদিন রয়েছে? স্কুলের পরীক্ষার এক রকম, বিয়ের কাগজে এক রকম, পাসপোর্টে এক রকম। এ রকম পাঁচটি জন্মদিবস। ভুয়ার মধ্যে কোনটি সঠিক? এই জন্মদিন পালনের জন্য ক্ষমা না চান, দুঃখ প্রকাশ না করেন, তাহলে তাদের সাথে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ডিনারের আমন্ত্রণে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অশালীন বাক্যালাপ করা হলো বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারপরেও নেত্রী বলেছিলেন, আসুন কথা বলি। কার ভুলে সীমাহীন ঔদ্ধত্য, অহমিকার কারণে গণভবনে সংলাপ হতে পারেনি? সেদিনের ইতিহাস কি জাতি ভুলে গেছে?

ওবায়দুল কাদের এ সময় আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তাঁর মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেলে দরজা বন্ধ করে দেওয়াকে নিষ্ঠুর রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সান্ত্বনা দেওয়ার সময় যখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখনই সংলাপের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের কারা বিদেশে যেতে সহযোগিতা করেছিল, দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল? ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে হন্তারকদের বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল? তাদের সাথে কীভাবে সংলাপ হবে? হত্যা করা ও উৎসাহ দেওয়া একই অপরাধ।

বঙ্গবন্ধুর কাছের লোকজন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট সেই পলাশীর বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল।