হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জে যেকোনো সময় উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। ফলে কে আসছেন নেতৃত্বে এ নিয়ে দলের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। যোগ্য-ত্যাগীদেরই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে নেতাকর্মীদের মনে। সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলার আসামি, বিবাহিত,অছাত্রসহ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন চারজন। তাঁরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক রায়েছ আহমেদ চৌধুরী,নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সোহেল, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক অলিউর রহমান অলি, ও ছাত্রদল নেতা ফুয়াদ হাসান রাজন।
সভাপতি হতে গ্রুপিং-লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে ত্যাগী ও প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদলের কর্মীরা ।
জানা যায়, রায়েছ আহমেদ চৌধুরী যৌন হয়রানী ছাড়াও ক্রিকেটার মুন্না ও শ্রমিক হত্যা মামলার আসামী ,পড়ালেখা ছেড়েছেন প্রায় ১৯ বছর পূর্বে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত । মাস শেষে অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে মোটা অংকের টাকা পান বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত রয়েছেন ।
অন্যদিকে ১৯৯৯ সালে এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় পড়ালেখা ছেড়ে দেন জহিরুল ইসলাম সুহেল । তার বিরুদ্ধে বিগত পৌর নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার একাধিক অভিযোগ আছে এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত রয়েছেন । আরেক সভাপতি প্রার্থী ফুয়াদ হাসান রাজন তিনি বিবাহিত ও ছেলে সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ ’ল’ কলেজের এলএলবি ২য় বর্ষের ছাত্র ।
অপর সভাপতি প্রার্থী অলিউর রহমান অলি বিশেষ ক্ষমতা আইন,পুলিশ অ্যাসল্ট ,দ্রুত বিচার আইনসহ কয়েকটি রাজনৈতিক মামলার আসামী । এছাড়া তিনি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা-বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে । পড়ালেখা করছেন মার্ষ্টাস শেষ বর্ষে ।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী জানান, যাঁরা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন ও ছাত্রত্ব যাদের আছে তাঁদের নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হবে।