সাধারণ মানুষ মনে করছে, এই চক্রান্তের মূল হচ্ছেন বদি। চক্রান্তের মাধ্যমে মাদক বিরোধী অভিযানকে কাজে লাগিয়ে বদি একদিকে যেমন নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন অন্যদিকে এই বন্দুকযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে পুরো মাদক বিরোধী অভিযানকে বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন। কারণ এই অভিযান শুরুর পর থেকেই বদি এবং তার পরিবারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অভিযানের আওতায় নিয়ে আসার দাবি ওঠে দেশব্যাপী।
এ কাজে বদির সঙ্গে সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর মতে, ২০০৮ সালে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে একরামের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল। তখন একরামের বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলাও হয়েছিল। যদিও মামলাটিতে একরাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়। সেই সূত্রে ২০১০ সালে নাম ওঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম তালিকাতেও। কিন্তু ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বদলির পর সেটা সংশোধন হওয়ায় নিরাপরাধ এ জনপ্রিয় কমিশনারের নাম বাদ পড়ে যায়। যদিও ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম জানান নি তিনি।
এদিকে স্থানীয় অধিকাংশ সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, একরাম ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্ভেজাল কর্মী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ সৈনিক। তার তেমন কোনো সম্পদ ছিলো না। এমনকি নিজের দুই মেয়ের পড়ালেখার খরচের জন্যও ভাইদের কাছে হাত পাততে হয়েছে তাকে।
একরামের মৃত্যু আওয়ামী লীগের ত্যাগী বিশ্বস্তদের জন্য অশনি সংকেত বলেও মনে করছেন তারা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, একরামকে হত্যার মধ্য দিয়ে টেকনাফকে আওয়ামী লীগ শূন্য করার কাজ শুরু হয়ে গেল। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, স্থানীয় বিএনপির অনেকে নেতাও একরামের মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর একরামুলের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তিনি ইয়াবা কারবারি ছিলেন বলে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তার বিরুদ্ধে ১০ বছর আগে মাদকের একটি মামলা হলেও সেটি মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।