প্রচ্ছদ হেড লাইন ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করে রবিউলের জবানবন্দি

ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করে রবিউলের জবানবন্দি

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

আসামি রবিউল ইসলাম ইউএনও কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (ফরাস)।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় দফা পুলিশি রিমান্ড শেষে দিনাজপুর আমলি আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঈসমাইল হোসেনের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন

তিনি বলেন, আসামি নিজে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানে সম্মত হওয়ায় তারা সকাল ১০টায় রবিউলকে আদালতে নিয়ে আসেন। পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আবেদনসহ তাকে দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে নেয়া হয়।

ওসি ইমাম জাফর বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী সে নিজেই। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে।

রবিউলের দেয়া তথ্যমতে, হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকাজে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রবিউলকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করে সে। গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।

তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী সে নিজে।

রবিউলকে ওই দিনই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ, পরে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে দেয়া হয়।