প্রচ্ছদ জাতীয় অবশেষে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

অবশেষে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

পেঁয়াজের দামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে অবশেষে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে এখন থেকে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিনা শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেঁয়াজের অনুৎপাদনশীল সময়ের (লিন পিরিয়ড) জন্য আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ মাসের শুরু থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। দেশে পণ্যটি আমদানি-নির্ভরতা রয়েছে। আর মোট যা আমদানি হয়, তার ৯০ ভাগের বেশি আসে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে।

ভারত গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করলে দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়। যদিও গত কয়েকদিনে তা কিছুটা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশে পেঁয়াজচাষীদের জন্য নায্যমূল্য নিশ্চিত ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সম্প্রতি হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শুল্ক তুলে নেয়ার সুপারিশ করেন। ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে এনবিআরে এই শুল্ক তুলে নেয়ার সুপারিশ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের অনুৎপাদনশীল সময় বা লিন পিরিয়ড। এ সময়ে পণ্যটির জোগান স্বাভাবিক না থাকলে অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে আমদানি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য এই সময় শুল্ক প্রত্যাহার করা দরকার।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর দেশের চাহিদা মেটাতে মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড থেকে পণ্যটি আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের তুলনায় এসব দেশ দূরবর্তী হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে। অপরদিকে পরিবহনের সময় পেয়াজ নষ্ট হয়ও। ফলে মোট আমদানি খরচ বেড়ে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা এনবিআরকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশ করেছেন।