ওই ফাউলের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আবার বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রান্সকে ফ্রি কিক দেয় আর্জেন্টিনা। ১৯ মিনিটে এমবাপেকে ডিবক্সের ঠিক বাইরে ফেলে দেন তাগলিয়াফিকো। পগবা অবশ্য লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ফ্রি কিক থেকে।
২৮ মিনিটে একটু সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফরাসি রক্ষণে বাধা পায় তাদের চেষ্টা। পাভনের পাসে ডানপ্রান্তে বল পেলে ডিবক্সের মধ্যে থেকে বল গোলমুখের সামনে দেন মেরকাদো। বল উমতিতির হাতে লাগলে এই ফুলব্যাকের পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।
তবে বিরতির ৪ মিনিট আগে চমৎকার এক গোলে আর্জেন্টিনাকে সমতা ফেরান আনহেল দি মারিয়া। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে ওয়ান-টু পাসে এভার বানেগার দারুণ ক্রসে বল পায়ে পান তিনি। ৩৫ গজ দূর থেকে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে বক্সের বাইরে থেকে গোল খায় ফ্রান্স। ১-১ এ বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল উদযাপন করে আর্জেন্টিনা। ৪৮ মিনিটে ব্যাকপোস্ট থেকে লিওনেল মেসির শক্তিশালী শট মেরকাদোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ২-১ গোলের লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
৫৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে লুকাস হার্নান্দেসের ক্রস পেয়ে প্রথম শটেই সমতা ফেরান বেনজামিন পাভার্ড। তার হাফভলি কোনাকুনি শটে জালে জড়ায়। ৬৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিবক্সের মধ্যে এলোমেলো রক্ষণভাগের সুযোগে বল পান এমবাপে। বাঁপায়ের মাটি কামড়ানো শটে আরমানিকে পরাস্ত করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন তিনি। পিএসজি স্ট্রাইকার তিন মিনিট পরই পান নিজের দ্বিতীয় গোল। অলিভার জিরুদের পাস থেকে ডানপ্রান্ত থেকে ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।
ইনজুরি সময়ে সের্হিয়ো আগুয়েরো গোল করে ব্যবধান কমান।