প্রচ্ছদ খেলাধুলা জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে এখনই ভাবতে চান না আশরাফুল

জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে এখনই ভাবতে চান না আশরাফুল

লন্ডন থেকে সোমবার দেশে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ফিটনেস ধরে রাখতে গত পাঁচ বছরে বহুবার দেশের বাইরে খেলতে গেছেন এ ক্রিকেটার। ফিরেছেন নীরবেই। তবে এবারের ফেরাটা অন্যরকম। বিমানবন্দরে ছিল গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তদের ভিড়, আশরাফুলের চোখেমুখেও ছিল মুক্তির আনন্দ।

২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের শাস্তিস্বরূপ ৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএল থেকে নির্বাসিত ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে খেলার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে গত ১৩ আগস্ট।

নিষেধাজ্ঞা উঠলেও জাতীয় দলে হারানো জায়গা ফিরে পেতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে আশরাফুলকে। জাতীয় লিগ, বিপিএল, বিসিএল, প্রিমিয়ার লিগে করে যেতে হবে অসাধারণ পারফর‌্যান্স। সেই পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত বলেই জানালেন ৩৪ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আগাতে চান সামনে। জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে এখনই ভাবতে চান না।

‘যারা ব্যাটসম্যান তারা যদি ফিট থাকে তাহলে কিন্তু লম্বা সময় খেলতে পারে। আমি এখন জাতীয় দল না, আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়েই চিন্তা করছি। সুযোগ পেলে ভালো ভালো ইনিংস উপহার দিতে চাই। যদি অনুশীলনের ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে অনেক ভালোকিছু দেয়ার যোগ্যতা আমার মধ্যে আছে।’

‘সামনে জাতীয় লিগ, আপাতত এটাকেই টার্গেট করছি। যেন শুরু থেকেই ভালো ছন্দে খেলতে পারি সে লক্ষ্য আছে। একটি একটি করে টুর্নামেন্ট ধরে আগাতে চাই। গত দুই মাসে ৮ কেজির মতো ওজন কমিয়েছি। ফিটনেস আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবুও আরও কাজ করতে হবে। ঈদের পর আবার কাজ শুরু করব।’ -বলেন আশরাফুল।

আংশিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে নেমেই পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন আশরাফুল। সেজন্য প্রশংসার আড়ালে বেশি বল খেলার কারণে সমালোচনাও ছিল।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথা অনুযায়ী আশরাফুলের ফেরার বিবেচনায় মানদণ্ড হতে পারে আগামী বিপিএল। ফিটনেস, ইনটেনসিটি, ব্যাটিং দক্ষতার অনেকটাই স্পষ্ট হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। নিজেকে তাই নতুন করে প্রমাণের মিশনে নেমেছেন আশরাফুল।

লন্ডনে এক মাস ছিলেন আশরাফুল। এই সময়টা বিসিবির সাবেক কোচ ও লন্ডনের ক্যাপিটাল কিটস ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক শহিদুল আলম রতনের অধীনে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন। স্থানীয় সান-ডে ক্রিকেট ও অন্যান্য টুর্নামেন্ট মিলে খেলেছেন ১৫টিরও বেশি ম্যাচ। জিমে নিয়মিত চলেছে ফিটনেস নিয়ে কাজ।