প্রচ্ছদ খেলাধুলা ‘ক্রোয়েশিয়ার এটাই সুযোগ, জয় করো অথবা মরো’

‘ক্রোয়েশিয়ার এটাই সুযোগ, জয় করো অথবা মরো’

রাশিয়ার ১২টি ভেন্যুতে ৩২ দলের লড়াই শেষ পর্যায়ে। বিশ্ব পেয়ে গেছে ২১তম বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট। বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ক্রোয়েশিয়া টিকিট কেটেছে লুজনিকির। তবে বিশ্ব সেরার তকমা পেতে হলে ফ্রান্সের গতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে ক্রোটদের। আর ১৯৯৮ পর আরেকটি ফরাসি বিপ্লবের অপেক্ষায় এমবাপ্পে-গ্রিজম্যান-পগবা ত্রয়ী।

তবে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের পর মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ফিফার ফ্যানজোন জুড়ে ক্রোয়েশিয়া সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড উল্লাস, ম্যাচ শেষ হবার ঠিক পরমুহূর্তের চিত্র এটি। ক্রোয়েশিয়ার জয় অবিশ্বাস্য লাগছিল ভক্তদের কাছে। মদ্রিচ, মাঞ্জুকিচদের নামে স্লোগান উঠছিল মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ জুড়ে।

ক্রোয়েশিয়ার এক ভক্ত বলেন, যা হলো তা বিশ্বাস করার মতো না, পেরিসিচের গোলের পরেও ভাবিনি এমন কিছু হবে। কিন্তু মাঞ্জুকিচ আজ প্রমাণ করলো অভিজ্ঞতার দাম আছে। আরেক ভক্ত হুশিয়ারি দিলেন, বিশ্বকাপ জেতার এটাই সুযোগ, জয় করো অথবা মরো, ক্রোয়েশিয়া হয় এবার বিশ্বকাপ জিতবে নয়তো কখনোই নয়।

মূলত এই ফ্যানজোনটিসহ গোটা মস্কো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইংলিশ ভক্তরা জড়ো হয়েছিল উল্লাসের জন্য। তবে দিনশেষে মারিও মাঞ্জুকিচের গোলের পর নীরব হয়ে যায় উৎসবের মঞ্চ। এমনিতেই ক্রোয়েট ভক্তরা ছিলেন সংখ্যায় কম, তার ওপর ম্যাচের শুরুতেই ট্রিপিয়েরের গোলের পর আরও চুপসে যান তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে যখন খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে ক্রোয়েশিয়া ভক্তরাও খোলস ছেড়ে বের হন। ম্যাচ শুরুর আগে ইংল্যান্ড ভক্তরা যখন দলে দলে আসছিলো, তাদের মুখে ছিল একটাই স্লোগান ‘ইটস কামিং হোম’।

কিন্তু শেষপর্যন্ত হয়নি, দলে দলে ফ্যানজোন থেকে বের হতে থাকা সমর্থকদের প্রশ্ন করা হলে একজন বলেন, ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না, খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল সবাইকে, আমরা এবার অনেক বড় আশা নিয়ে এসেছিলাম। হ্যাঁ, আমরা হতাশ তবে ছেলেদের বাহবা দিতেই হয়, এতদূর এসেছে ওরা।

১৫ই জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে যাওয়া ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স।