প্রচ্ছদ খেলাধুলা ইচ্ছাকৃত হলুদ কার্ড দেখে নিষেধাজ্ঞার মুখে রামোস

ইচ্ছাকৃত হলুদ কার্ড দেখে নিষেধাজ্ঞার মুখে রামোস

গতরাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে আয়াক্সের মুখোমুখি হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শেষ দিকে অ্যাসেনসিওর গোলে জয়ের দেখা পায় গ্যালাকটিকোরা।

ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ থেকে গেছে। অবশ্য এর কারণ রিয়াল অধিনায়ক রামোসের বক্তব্য। যা রিয়ালের জয়কেও ছাপিয়ে গেছে। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে আয়াক্সের ক্যাসপার ডোলবার্গকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রামোস। সকলে দেখেছিলেন কার্ডটি ফাউলের কারণেই পান তিনি।

কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লসব্ল্যাঙ্কোসদের অধিনায়ক স্বীকার করেন যে, ওই কার্ডটি তিনি ইচ্ছাকৃতই করেছেন যাতে করে রেফারি কর্তৃক হলুদকার্ড পান। কারণ ম্যাচটিতে তখন রিয়াল ২-১ গোলে জয়ের পথেই এগুচ্ছিল।

এই ম্যাচের আগে রামোসের নামের পাশে তিনটি হলুদ কার্ড ছিল। অর্থাৎ আর একটি হলুদ কার্ড পেলেই তিনি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেতেন। যেহেতু ম্যাচে অ্যাসেনসিওর গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের পথে ছিল রিয়াল তাই কার্ডের ঝামেলা কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই চুকিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। সে হিসেব করে রামোস আয়াক্সের ক্যাসপারকে ইচ্ছাকৃত ফাউল করে বসেন। আর সঙ্গে সঙ্গে কার্ড দেখেন।

এর ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগে অর্থাৎ নিজেদের মাঠ বার্নাব্যুতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খেলতে পারবেন না তিনি। প্রথম লেগে জয় পাওয়ায় দ্বিতীয় লেগে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার নিশ্চিত করবে রিয়াল এমনটাই বিশ্বাস রামোসের। তাই তিনি না থাকলেও সমস্যা হবে না গ্যালাকটিকোদের।

কিন্তু ম্যাচ শেষে রামোসের স্বীকারোক্তি তাকে ফেলেছে বড় বিপদে।উয়েফার আইন বলছে, কোনও উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে কেউ ইচ্ছা করে হলদু কার্ড দেখলে তাকে দুই ম্যাচ কিংবা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিষিদ্ধ করতে পারে সংস্থাটি। রামোসের শাস্তি কি তাহলে বাড়ছে? তা সময়ই বলে দিবে। তবে তা যে দলের জন্য ক্ষতি ডেকে আনলো তা এক প্রকার নিশ্চিত।

স্প্যানিশ একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামোস বলেছেন, ‘যদি বলি আমি ইচ্ছা করে ফাউল করিনি, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। আমি প্রতিপক্ষকে খাটো করতে চাই না। কিন্তু ফুটবলে আপনাকে মাঝে মাঝে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

গত মৌসুমে রিয়ালের দানি কারবাহাল এরকম কাণ্ডের জন্য দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এবার রামোসও একই শাস্তি পেতে পারেন। আর যদি তা হয় তাহলে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ তো বটেই, কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগও মিস করতে হবে তাকে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে রামোসের বিরুদ্ধে ইচ্ছা করে কার্ড দেখার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচের শেষ দিকে ইচ্ছা করে কার্ড দেখেছিলেন রামোস ও জাভি আলোনসো। দুজন একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ২০১০ সালে আয়াক্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও।

আগের দুবার অবশ্য রামোসকে বাড়তি শাস্তি পেতে হয়নি। কিন্তু এবার পার পেয়ে যাওয়া তার জন্য কঠিনই। কারণ ইচ্ছা করে কার্ড দেখার কথা যে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন!