প্রচ্ছদ খেলাধুলা অসাধারণ ডাবলে দ্রুততম সাকিব

অসাধারণ ডাবলে দ্রুততম সাকিব

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে দুইশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান।

কাইরান পাওয়েলের উইকেট নিয়ে অসাধারণ ডাবল ছুঁয়েছেন বাংলাদেশ  অধিনায়ক। ক্রিকেট বিশ্বের নবম অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব টেস্টে সাড়ে তিন হাজার রান ও দুইশ উইকেটের স্বাদ পেলেন। তালিকাটা আরো ছোট করে দেওয়া যায় সহজেই। ড্যানিয়েল ভেট্টরির পর দ্বিতীয় স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে এলিট তালিকায় নাম তুলেছেন সাকিব।

পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে এ রেকর্ডও গড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিজের ৫০তম টেস্টে সাড়ে তিন হাজার রান অতিক্রম করেন এ বাঁহাতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছেন ৫৫তম টেস্ট।

ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার স্যার ইয়ান বোথাম ৬৩ টেস্টে সাড়ে তিন হাজার রান ও দুইশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। সাকিব ৮ টেস্ট কম খেলে এ কীর্তি গড়েছেন। এরপর অ্যান্ডু ফ্লিনটফ ৭১ টেস্টে, স্যারি গ্যারি সোবার্স ৮০ টেস্টে, ইমরান খান ৮২ টেস্টে, কপিল দেব ৮৫ টেস্টে, ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৯৫ টেস্টে এবং জ্যাক ক্যালিস ও শন পোলক সমান ১০২ টেস্টে অসাধারণ এ ডাবল ক্লাবে ঢুকেছিলেন।

পঞ্চম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সাকিব পেয়েছেন দুইশ উইকেট। শ্রীলঙ্কার হেরাথ ৪৭ টেস্টে, ভারতের বিষান সিং বেদী ৫১ টেস্টে অর্জন করেন দুইশ উইকেট। এরপর সাকিবের অবস্থান। সাকিবের পর রয়েছেন ইংল্যান্ডের ডেরেক আন্ডারউড (৫৭) ও নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৬৩)।

১৯৬ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরেন। ফিরে নিজের প্রথম ওভারে নেন দুই উইকেট। ওভারের প্রথম বলে বোল্ড শাই হোপ। শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দেন ক্রেইগ ব্যাফেট। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আরো দুই উইকেট পেতে পারতেন। এমব্রিস ও চেজের ক্যাচ মুশফিক ও মুস্তাফিজ মিস না করলে শুরুতেই দুইশ উইকেট পেয়ে যেতেন। অপেক্ষা বাড়ে তার।

বিরতির পর সাকিবের বলে এমব্রিসের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আলীম দার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আবারো অপেক্ষা বাড়ে সাকিবে। এরপর প্রথম ইনিংসে শেষ উইকেট নিয়ে সাকিবের উইকেট ১৯৯ তে আটকে যায়।

আজ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উইকেট। এগিয়ে এসে সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন পাওয়েল।

ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেক সাকিবের। প্রথম টেস্ট উইকেটের জন্য ৫২ ওভার অপেক্ষা করতে হয়েছিল। নিজের চতুর্থ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ক্রেইগ কামিংয়ের উইকেট নিয়ে খাতা খোলেন সাকিব। ১৫তম টেস্টে তার ৫০তম শিকার ছিলেন ভারতের ভিভিএস লক্ষ্ণণ।

২৮তম টেস্টে ড্যারেন স্যামির উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ রফিককে স্পর্শ করেন সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে একশ উইকেট পেয়েছিলেন রফিক। ৪৩তম টেস্টে ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটের উইকেট নিয়ে দেড়শ উইকেটের স্বাদ পান সাকিব।

দিনকে দিন সাকিব নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তৈরি করছেন ভিন্ন ল্যান্ডমার্ক। চট্টগ্রাম টেস্টে দুইশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন।