কে.এম.রিয়াজুল ইসলাম,বরগুনাঃ বরগুনার তালতলী উপজেলায় সোনালী ব্যাংক না থাকায় চরম ভোগান্তীর স্বীকার সরকারী-বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীসহ নব-গঠিত তালতলী উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ এলজিইডির ঠিকাদারগন। এ ছাড়াও তালতলী বাজারে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন চললেও কোন সোনালী ব্যাংক না থাকায় সাধারন ব্যাবসায়ীরা চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছে। দক্ষিনবঙ্গের তালতলী উপজেলার বৃহৎ গরুর বাজার ও ধান-চাউল বিক্রির জন্য তালতলী বাজার বিখ্যাত। সরকারী গোডাউনের বড় টার্গেট ধান-চাউল এখান থেকে ক্রয় হয় এবং উত্তরের বড় বড় গরুর ব্যাবসায়ী(ধুরীর নৌকা) নিয়মিত এখানে এসে শত শত গরু মহিষ-ক্রয় করে। উপজেলার বাজার গুলোর মধ্যে এ বাজার থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় অনেক বেশী। উপজেলা পরিষদের রাজস্ব হিসাব অনুযায়ী তালতলী বাজার প্রথম তালিকায় । এখানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ,তালতলী ডিগ্রী কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, ডাক বাংলো,বে-সরকারী সংস্থা এনএসএস,আশা, কোডেক,এসডিএফ, গ্রামীন ব্যাংক,কারিতাস আঞ্চলিক অফিস, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক মুদি-মনোহরী দোকানসহ শতাধিক পাইকারী মহাজনী দোকানপাট রয়েছে। উলেখ্য যে, তালতলী বাজারে সোনালী ব্যাংক না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় চাকুরীরত শিক্ষকদের পটুয়াখালীজেলার কলাপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে অন্য উপজেলা আমতলী গিয়ে আমতলীসোনালী ব্যাংক থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেতন-ভাতা তুলতে হচ্ছে। আর এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেনা তালতলী উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপজেলা হওয়া সত্বেও অত্র এলাকায় কোন সোনালী ব্যাংক না থাকায় মাস শেষে বেতন তুলে আমতলী থেকে কর্মস্থল তালতলী আসতে জান ও মালের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে সাধারন ব্যবসায়ী ঠিকাদারসহ শিক্ষক কর্মচারী ও বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন। বিষয়টি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া খুবই জরুরী