রোনাল্ডোর সঙ্গে বলিউড তারকার ছবি নিয়ে রহস্য

ফুটবলের প্রতি ভালবাসা সর্বজন বিদিত।্সেখানে বাদ যান না কেহ। এমন কি বলিউড সেলিব্রেটিদের কথা কম শোনা যায়না। বলিউড তারকাদের ফুটবল ও ফুটবলার প্রীতির কথা সর্বজনবিদিত৷ আর যদি সেই ফুটবলার রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রোনাল্ডো হন তাহলে তো কথায় নেই৷ এমনটাই হল ইশকিয়া গুন্ডে খ্যাত বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর এবং ভিকি ডোনার খ্যাত আয়ুসমান খুরানার সঙ্গে৷ রোনাল্ডোর সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন দুই বলিউড তারকা৷ সোশ্যাল মিডিয়াই সেই ছবি আসতেই ভাইরাল হয়৷

রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলের বিরুদ্ধে রিয়ালের হয়ে খেলতে নামবেন রোনাল্ডো৷ তার আগেই দুই বলিউড তারকার সঙ্গে সেল্ফিতে দেখা গেল নম্বর সেভেনকে৷ দুই বলিউড তারকাই আগামী ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রিয়ালের তারকা ফরোয়ার্ডকে৷

টুইটারে ছবিটি পোস্ট করে আয়ুসমান লেখেন, ‘যে ছবির জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে৷ একটা চমৎকার সাক্ষাৎ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের সঙ্গে৷ কোনদিন ভুলতে না পারা মুহূর্ত একটি৷’

সড়কে গাড়ি চালাতে প্রস্তুত সৌদি নারীরা

আর কিছুদিন পরেই উঠে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। সড়কে পুরুষের পাশাপাশি নিজেদের অংশ বুঝে নিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত সৌদি নারীরা। ১ জুন থেকে সৌদি আরবে উঠে যাচ্ছে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই আসে সিদ্ধান্ত। সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন দেশটির বাদশাহ সালমান। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ ছিল, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সিদ্ধান্তে তেমন খুশি নন সৌদি পুরুষেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন তাঁরা। বিপরীতে নারীরাও হচ্ছেন সরব।

টুইটারে নিজের পছন্দের গাড়ির ছবি পোস্ট করেন কোনো কোনো নারী।

গত মঙ্গলবার আরবি ভাষায় ‘হ্যাশট্যাগ তোমরা গাড়ি চালাবে না’ প্রচারণা চালাতে শুরু করেন পুরুষেরা। ইতিমধ্যে টুইটারে ভাইরাল হয় তাঁদের এই প্রচারণা। প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ব্যবহার করেছে ওই হ্যাশট্যাগ।

তবে পুরুষদের এই প্রচারণা দেখে চুপ করে বসে নেই নারীরা। তাঁরাও ওই প্রচারণার বিপরীতে মজার মজার ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন। অনেক নারী তাঁদের স্বপ্নের গাড়ির ছবি ওই হ্যাশট্যাগের বিপরীতে ব্যবহার করেন। টুইটারে একজন চমৎকার একটি গোলাপি রঙের গাড়ির ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার গাড়ি, জুন ২০১৮’। কেউ কেউ তাদের ড্রাইভিং স্কুলের বইয়ের ছবি পোস্ট করেন। আবার কেউবা সহজ ভাষায় লেখেন, ‘আমি গাড়ি চালাব’। নারীদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ রাখে—এমন পুরুষকে ‘হারুপাট্টি’ বলেও মন্তব্য করেন কোনো কোনো নারী।

ড্রাইভিং স্কুলের বইয়ের ছবিও পোস্ট দেন কেউ কেউ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

সারাহ আল ওতাইবি নামের এক নারী লেখেন, ওটা জঘন্য হ্যাশট্যাগ। যেসব নারী গাড়ি চালাতে চাইছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, রাজকীয় আদেশ অনুযায়ী পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে।

গত বছরের অক্টোবরের দিকে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কট্টরপন্থী সৌদি আরবকে মধ্যপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনার কথা জানান। নারীদের গাড়ি চালনার অনুমতি প্রদান ওই পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

কান উৎসবে বাংলাদেশের শূন্যতা

শুধু কি প্রতিযোগিতা বিভাগের ২১টি ছবির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসব? দূরদেশ থেকে উৎসবটি দেখলে এমনটা মনে হতেও পারে। উৎসবের পরিধি কিন্তু এর চেয়েও অনেক বিস্তৃত। উৎসবের আঁ সারতেঁ রিগার, ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট কিংবা ক্রিটিকস উইক—এখানেও নানা চমক আর বিস্ময়ের ছড়াছড়ি। এসব বিভাগে আসা ছবিগুলো দেখার জন্যও মানুষের সে কী নিরন্তর অপেক্ষা! বিশ্বকাপে মেসির একটি গোল দেখার জন্য যেমন তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে দর্শক, তেমনই তৃষ্ণার্ত থাকে নুরি বিলগে চেলান কিংবা আসগর ফরহাদির একটি ছবির জন্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে, প্ল্যাকার্ড হাতে সিনেমা দেখার জন্য মানুষ বসে থাকে রাস্তায়—এমন দৃশ্য কান ছাড়া খুব একটা দেখা যায় না।

লালগালিচায় কে হাঁটছেন—এটা দেখার জন্যও আলাদা গ্যালারি বানানো আছে। সেখানে দর্শক বন্ধু-পরিবার নিয়ে চিপস, কেক, পানীয় খেতে খেতে দেখেন তারকাদের আনাগোনা। ওদিকে লালগালিচায় চলছে অনবরত ধারাভাষ্য। ধারাভাষ্যকার সরাসরি সম্প্রচারে বলছেন,‘স্বচ্ছ আকাশে রোদ ঝলমল করছে। সেটা লালগালিচায় এসে পড়েছে। সেই রোদের মধ্য দিয়েই হেঁটে আসছেন লিয়া সেদু। হলুদ গাউন পরা লিয়ার ডান পাশে হলিউড অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টও আছেন। তাঁরা দুজনই এবারের প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি। কানে কানে কিছু বলছেন তাঁরা। আলোকচিত্রীদের ছবি তোলা শেষ। এখন সিঁড়ি বেয়ে তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন উৎসবপ্রধান থিয়েরি ফ্রেমোর দিকে। থিয়েরি একটু বাঁয়ে পাশ কাটিয়ে দিয়ে প্রথমে হাত বাড়ালেন লিয়ার দিকে। স্বাগত জানালেন। এরপর ক্রিস্টেনকেও স্বাগত জানিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পালার ভেতরে।…’
এভাবেই ধারাভাষ্য চলছে তো চলছেই। ঠিক যেমনটা কোনো ক্রিকেট কিংবা ফুটবল ম্যাচের সময় চলে।

উৎসবের বাইরে কানে ছবি বাজার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উৎসবের মূল বিভাগে অংশ নিতে কিংবা মূল উৎসবের ছবি দেখতে যত না মানুষ আসে, তার চেয়ে বেশি মানুষ আসে এই ছবি বাজারের (মার্শে দ্যু ফিল্ম) অংশ হিসেবে। এ আয়োজনে কেউ ছবি বিক্রি করতে আসে, কেউ ছবির লোকেশন, কেউ আবার উন্নত প্রযুক্তিতে ছবি নির্মাণের কারিগরি সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে স্টল বসান।

পালে দ্য ফেস্তিভালের নিচতলায় বিশাল এই ছবি বাজার বসে। আর পালের বাইরে এর তিন দিকজুড়ে থাকে কান্ট্রি প্যাভিলিয়নগুলো। এই প্যাভিলিয়ন কোনো গড়পড়তা দোকান নয়। একেকটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে একেকটি প্যাভিলিয়ন। এবার তো এই কাতারে যুক্ত হয়েছে সৌদি আরবও! সেই স্টলে ঢুকতেই খরিদ্দার, বিনিয়োগকারী এমনকি সাধারণ দর্শনার্থীকেও তাঁরা খেজুর-খোরমা দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। দেখাচ্ছেন তাঁদের দেশে বানানো সিনেমাগুলোর ট্রেলার, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন দেশটির তরুণ নির্মাতাদের সঙ্গে। তা ছাড়া তাঁদের স্টলে এবার সৌদি আরবকে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য উপযুক্ত একটি দেশ হিসেবে প্রচার করতে চাইছেন তাঁরা। তাই যে-ই যাচ্ছেন স্টলে, তাঁকে ধরিয়ে দিচ্ছেন সৌদি ফিল্ম কাউন্সিলের তৈরি লোকেশন গাইড।

কানের বাজারে ঘুরতে ঘুরতে ভারতের প্যাভিলিয়নে গিয়ে কিছু চেনা মুখ মনকে স্বস্তি দেয়, আবার অবাকও করে। এ বছর ভারত তাদের প্যাভিলিয়নে সিনেমার বাঙালি কিংবদন্তিদের বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। প্যাভিলিয়নের মূল স্ক্রিনের দুই পাশে সাঁটা চারটি মুখই বাঙালির—সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন ও সম্প্রতি ভারতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্তরা আছেন, তবে পেছনে, অন্য দেয়ালে। প্যাভিলিয়নে ঢুকে বাঙালিদেরই চোখে পড়ছে সবার আগে।

কানের প্যাভিলিয়নে উড়ছে নানা দেশের পতাকা। কেবল নেই বাংলাদেশ। ছবি: উৎসবের ওয়েবসাইট

কানের এই ছবি বাজারে এবার বাংলাদেশের বলতে ছিল শুধু একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি—পোড়ামন ২। এ ছাড়া শর্ট ফিল্ম কর্নারে আছে চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি—জসীম আহমেদের আ পেয়ার অব স্যান্ডাল, নোমান রবিনের আ কোয়ার্টার মাইল কান্ট্রি, ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর রোয়াই এবং মনজুরুল আলমের মেঘে ঢাকা।
গত শনিবার হয় পোড়ামন ২ ছবিটির প্রদর্শনী। সেখানে কয়েকজন ভিনদেশি দর্শকও ছিলেন। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান আব্দুল আজিজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ‘বেশ সাড়া পেয়েছি পোড়ামন ২ ছবিটি থেকে। অনেকে দেখে একে “ওয়েল মেড” সিনেমা হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তবে এই ফিল্ম মার্কেটে আমাদের বাংলাদেশের উপস্থিতি আরও বাড়ানো দরকার। সামনের বছর আমরা একটা উদ্যোগ নেব বলে আশা করছি।’

কানে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের শূন্যতা এখানে আসা প্রত্যেক বাংলাদেশিই অনুভব করেন। তবে নির্মাতা সামিয়া জামানের ভাষায়, কোনো প্রস্তুতি ছাড়া হুট করে প্যাভিলিয়ন নেওয়াটা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘প্যাভিলিয়ন নেওয়ার জন্য একটি দেশের চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হয়। এ জন্য অনেক পরিকল্পনা লাগবে, দূরদৃষ্টি থাকতে হবে। আমরা কী চাই সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে, কান উৎসবের ফিল্ম মার্কেটের বিগত বছরগুলো থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। তবেই প্যাভিলিয়ন নিয়ে নিজের দেশের চলচ্চিত্রক্ষেত্রকে তুলে ধরা সহজ ও ফলপ্রসূ হবে।’

লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিস্তিন—সব দেশের পতাকা যার যার প্যাভিলিয়নের ওপর উড়ছে সগৌরবে। নিজ নিজ প্যাভিলিয়নের ভেতর বাজছে দেশীয় গান, সিনেমা। আড্ডা দিচ্ছেন সেসব দেশের চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, কলাকুশলী, সাংবাদিকেরা। বাংলাদেশের একটি প্যাভিলিয়নের শূন্যতা খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা নিজের অবর্তমানে আ.লীগের নেতৃত্ব খুঁজতে বললেন নেতা-কর্মীদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব খোঁজার জন্যও দলীয় নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

১৯৭৫-এর বিয়োগান্ত অধ্যায়ের পর শেখ হাসিনা প্রবাসে দীর্ঘদিন রিফিউজি হিসেবে কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগ তাঁকে সভাপতি নির্বাচন করলে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, সংগঠন যদি শক্তিশালী হয়, সংগঠনে যদি ঐক্য থাকে, আর এই সংগঠন যদি জনগণের পাশে থেকে জনমত সৃষ্টি করতে পারে, তখনই যেকোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়; যা আমরা বারবার প্রমাণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী ৩৭ বছর আগের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এই দিনে তাঁর স্বদেশে ফিরে আসার স্মৃতি রোমন্থনে বারবারই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই তাঁকে বরণ করে নেওয়ার জন্য মানুষের যে ঢল দেখেছেন, মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তা তাঁকে এখনো আপ্লুত করে। মা-বাবা, ভাই, পরিজনদের হারিয়ে বাংলার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাই তাঁকে চলার পথ দেখিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আশ্রয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে চলে গেছে, তা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশের গণতন্ত্রায়ণ ও নিরন্ন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য।

ছাত্ররাজনীতি করলেও আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়াটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক কঠিন সময়ে তিনি দেশে ফেরেন। জাতির পিতার খুনিরা তখন পুরস্কৃত হয়ে বহাল তবিয়তে, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স থাকায় বাবা হত্যার বিচার চাইতে পারছেন না, জিয়া তখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রতি রাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। আর ভাঙার চেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগকে।

গণভবনে আজ মঙ্গলবার প্রথমে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর একে একে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চীনে এবারও রোজা রাখায় নিষেধাজ্ঞা

চীনের শিনঝিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি মুসলমান বসবাস করেন। কিন্তু গত কয়েক বছরের মতো এবারও তাদের রোজা রাখা ও ধর্মীয় রীতি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। আজ বৃহস্পতিবার চীনা সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।

নির্দেশিকায় কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারি চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা রোজা রাখতে পারবেন না। পাশাপাশি মুসলিম মালিকদের রেস্তোরাঁ খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

শিনজিয়াং অঞ্চলে মূলত চীনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষরা বসবাস করে। কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।

শিনজিয়াংয়ের জিংহি কাউন্টির সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘পুরো রমজান মাসে হোটেল, রেস্তোরাঁ-সহ যাবতীয় খাবারের দোকান খোলা রাখতে হবে।

উইঘুরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে মন্তব্য করেছে যে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাতিগত উত্তেজনা বাড়বে। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে জাতিগত দাঙ্গায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র : কলকাতা২৪x৭

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০টি ইঞ্জিন আনছে রেলওয়ে

দক্ষিণ কোরিয়ার  হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে ১০টি রেল ইঞ্জিন ক্রয় করতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার রেলভবনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং হুন্দাই রোটেমের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা ব্যয়ে ১০টি লোকোমেটিভ বা ইঞ্জিন বাংলাদেশ রেলের বহরে যুক্ত হবে। ২৪ মাসের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করবে।

আগামী তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে

সারাদেশে আগামী তিন দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চ্ট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি. যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

বিয়ারের বোতলে সৌদির পতাকা!

বিয়ারের বোতলে সৌদি আরবের পতাকা ছাপিয়েছে জার্মানির এক কোম্পানি। এতে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিয়ার কোম্পানির এই ঘটনাকে রিয়াদে অবস্থিত জার্মান দূতাবাস ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।

রাশিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা ২০১৮ বিশ্বকাপ প্রচারের জন্য বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ইচবাম এই সৌদি পতাকা ব্যবহার করে বলে জানা যায়।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরালও হয় ছবিটি। অনেকেই এই বিয়ার বোতল দোকান থেকে তুলে নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।

জানা যায়, তীব্র সমালোচনার পর গত ১১ মে ইচবাম এবং রিয়াদে জার্মান দূতাবাস এই ইস্যুতে নড়েচড়ে বসে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারও ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। তাদের ক্ষমা চাওয়ার পরেই জার্মানির ওই বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা সৌদি আরবের পতাকার ছবি দেওয়া ওই বোতলের ক্যাপ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।

পাশাপাশি যেগুলো বাজারে চলে গেছে সেগুলো উঠিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

রোজায় কাশ্মীরে সামরিক অভিযান বন্ধ ঘোষণা ভারতের

মেহবুবা মুফতির প্রস্তাবে রাজি হয়ে অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে পবিত্র রমজান মাসে জঙ্গি দমনে চলমান সামরিক অভিযান শর্তসাপেক্ষে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার।

এর আগে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিরোধীত করে আসছিল সেনাবাহিনীসহ বেশ কিছু মহল। তবে সেসব বিষয় পাত্তা না দিয়ে কেন্দ্র সরকার মেহবুবার কথায় সাড়া দিয়েই গতকাল বুধবার থেকে শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে রোজা পালন করতে পারেন, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেহবুবাকে জানিয়েছেন।

তবে মুখপাত্র এও জানান, যুদ্ধবিরতি পালন করলেও আক্রান্ত হলে বা নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষায় একান্ত প্রয়োজন দেখা দিলে নিরাপত্তাবাহিনীর সামনে পাল্টা আঘাত হানার রাস্তা খোলা থাকবে।

মেহবুবা কেন্দ্রের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শান্তিপূর্ণ ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে। রমজানে যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে সর্বান্তকরণে স্বাগত জানাচ্ছি। ধন্যবাদ দিতে চাই নরেন্দ্র মোদীজী ও রাজনাথ সিংজীকে, তারা ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ করেছেন বলে। সর্বদল বৈঠকে যোগ দিয়ে এই পদক্ষেপ গ্রহণে ঐকমত্য গড়তে সাহায্য করা সব নেতা, দলকেও আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

সূত্র: এবিপি আনন্দ

আসছে একুশ শতকের সবচেয়ে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ

একুশ শতকের সবচেয়ে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ অবলোকন করতে যাচ্ছে পৃথিবী। আগামী ২৭ জুলাই এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ১০৩ মিনিটব্যাপী স্থায়ী হবে এ চন্দ্রগ্রহণ। একেবারে পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে এবার চন্দ্রগ্রহণের ছায়া চলে যাবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ চন্দ্রগ্রহণ বছরের দ্বিতীয়। তবে একুশ শতকের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় এটি অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণ থেকে আলাদা হিসেবে দাবি করছেন তারা।

বিশ্বের বহু অঞ্চল থেকেই এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এর মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, পূর্ব-এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ থেকেও বেশ ভালোভাবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ আপডেট...