প্রচ্ছদ খেলাধুলা ১৪৪ নয়, সেই ৭২ রানের ইনিংসটাই ইমরুলের কাছে সেরা

১৪৪ নয়, সেই ৭২ রানের ইনিংসটাই ইমরুলের কাছে সেরা

দলের বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। শুধু তাই নয়, তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যৌথভাবে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের এটি যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তারপরও তবু এই ইনিংসকেও ক্যারিয়ার সেরা বলে মনে করেন টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস। তার কাছে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা সেই ৭২ রানের ইনিংসটাই নাকি সেরা।

দুটি ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যাবে বিপদের মধ্যে হাল ধরেছেন ইমরুল। রবিবার মিরপুরে তো এক প্রান্ত আগলে থেকে অপরপ্রান্ত থেকে বাকি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দেখেছেন। তারপরও কালকে ইনিংসটাকে সেরা মানতে নারাজ ইমরুল। তার দাবি, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষের ৭২ রানের ইনিংসটাই সেরা। ইমরুল বলেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের ভালো একটা ইনিংস হিসেবে রাখব। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস অনেক দরকার ছিল। আমি তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসকে এগিয়ে রাখব।’

৭২ রানের ইনিংসটাকে সেরা বলার অবশ্য কারণ রয়েছে। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতে দায়িত্ব পড়া দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর মাঝপথে হুট করে ডাক পড়ে ইমরুলের। খুলনায় একটু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলেন তিনি তখন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা-ঢাকা হয়ে দুবাই উড়ে যান। দুবাই থেকে আবুধাবি গিয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই নামতে হয় তাকে। তবে নিজের পছন্দের জায়গাও নামানো হয়নি। সেদিনই প্রথম ৬ নম্বরে নেমেছিলেন। খেলেছিলেন দলের বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। বেঁচে থাকে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।

আফগানদের বিপক্ষে বিরূপ পরিস্থিতিতে খেলা ওই ইনিংস ইমরুলকে দিয়েছে কঠিন পরিস্থিতি জেতার সাহস। তার বিশ্বাস ওটা থেকেই সাহস নিয়ে আজকের ইনিংসের জন্ম, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি কি করতে পারি, কি পারি না, অনেক কিছু জেনেছি ওই ইনিংস থেকে। আজকে ব্যাটিংয়ের সময় ওই ইনিংসটার কথা বারবার মনে করছিলাম। ওরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে নিজেদের কন্ডিশনে আরও ভালো কিছু করতে পারব।’