প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ সুযোগ পেলে মডেল হবে ঝিনাইদহঃ মিন্টু

সুযোগ পেলে মডেল হবে ঝিনাইদহঃ মিন্টু

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের মনোনয়ন প্রার্থী জনাব সাইদুল করিম মিন্টুর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিডি রিপোর্টের প্রতিবেদক মাসুদ রানা।পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি েতুলে ধরা হল:

প্রশ্নঃকেন আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চান?
সাইদুল করিম মিন্টুঃ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে  আঞ্চলিক নির্বাচনে  পৌরসভার মেয়র ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। জাতীয় নির্বাচনে নিজেকে যোগ্য মনে করছি তাই আমি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী।বিগত দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ঝিনাইদহ-২ আসনে যাদের যোগ্য মনে করেছে তাদেরকে  মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা কেউ ঝিনাইদহ থাকেন না। তারা ঢাকা থেকে এসে রাজনীতি করেন।সাধারণ মানুষের কাছে থাকলে তাদের বিপদ আপদ,প্রয়োজন, সমস্যা এইগুলো বোঝা যায়।কিন্তু বাইরে থেকে এসে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না।তাই আমি মনে করি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি ঝিনাইদহ কে বাংলাদেশের বুকে একটা মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।আমি বিশ্বাস করি,আমি মনোনয়ন পেলে জয়লাভ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবো।
প্রশ্নঃবর্তমানে মেয়র থাকা অবস্থায় এলাকায় কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন?
সাইদুল করিম মিন্টুঃমেয়রের তো একটা নির্দিষ্ট গোন্ডী আছে।তারপরেও আমি মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ৩২৯ পৌরসভার মধ্যে আমার পৌরসভা ৩-৪ কাজে চ্যাম্পিয়ন। আগে মানুষ সন্ত্রাস, আত্মহত্যার জন্য ঝিনাইদহকে চিনতো কিন্তু আমরা সেটা বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছি।আমাদের দেখে মানুষ শিখছে। আমাদের কর্মকাণ্ডগুলো সরকার অন্য জায়গায় বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করছে। আমাদের দেশপর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১০০ বেডের মধ্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল প্রথম স্থান অর্জন করেছে।ফলে আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছি। তাছাড়া আমরা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও উন্নয়ন করেছি। ঝিনাইদহে কসাস নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে আমি তার উপদেষ্টা। এই সংগঠক জয় বাংলা ইয়থ এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্য শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন।আমরা পৌরসভার পক্ষথেকে  শিক্ষার্থীদের বিনামূল্য টিফিন বক্স, খাতা,কলম,পেন্সিল,ব্যাগ সহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রদান করছি।আমরা পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করে উৎসাহিত করছি যা বাংলাদেশে অন্য কোন পৌরসভা করে না।আমরা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকতে ঝিনাইদহ মডেল হয়েছি।আমরা  মানববজ্য শোধনাগার বানিয়েছি। সরকার ও বিদেশি সহায়তায় ১১টি জায়গায় এটি তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে ঝিনাইদহ চ্যাম্পিয়ন। গরিব মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করেছি।বস্তির নাম পরিবর্তন করে লক্ষ্মীকল,ষাটবাড়ী,মহিষাকুণ্ডু কমিউনিটি নাম দিয়েছি। এখানে বিদেশিরা দেখতে আসেন। বার্লিন, মালয়েশিয়া ও দিল্লিতে আমরা এই আবাসন সম্পর্কে বলেছি।
এই কাজগুলো সব পৌরসভার মধ্য করেছি।তাছাড়া পৌরসভার বাইরে অনেক কিছু করার আছে কিন্তু আমার সীমাবদ্ধতার জন্য সেটা করতে পারছিনা।তবে আমি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সব কাজ করা আমর পক্ষে সম্ভব বলে মনে করি।মাননীয় প্রধানমনন্ত্রী বষস্কভাতা,বিধবা ভাতা,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা,মাতৃকালীন ছুটি দিচ্ছেন কিন্তু আমাদের সংসদ সদস্যরা কাউকে জানায় না।
প্রশ্নঃপ্রধানমন্ত্রী আপনাকে যদি  মনোনয়ন দেয় তাহলে এলাকায় কি কি কাজ করবেন?
সাইদুল করিম মিন্টুঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সব কর্মসূচি দিচ্ছেন সেগুলো সঠিক,নির্ভূল ও সুন্দর ভাবে মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারলেই সব কাজ হয়ে যায়।বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। গরিব ছেলে মেয়েরা উপবৃত্তি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ এর ঘাটতি নাই।সবার বাসাই বিদ্যুৎ চলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো করে মানুষকে ভাল বাসেন।তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায ও কুরআন পড়ে কাজ শুরু করেন।আমি তার আদর্শ নিয়ে জনগণকে ভালবেসে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।মডেল পৌরসভার মতো মডেল ঝিনাইদহ বানাতে চাই।
প্রশ্নঃআপনি বিজয়ী হলে ঝিনাইদহ বাসীর জন্য কি করবেন?
সাইদুল করিম মিন্টুঃআল্লাহ যদি আমাকে জয়ী করে  তাহলে আমি সর্বপ্রথম ঝিনাইদহে  নির্মাণ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেগুলো এখনো চালু হয়নি সেগুলো চালুর ব্যবস্থা করব।আমি এতিম,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতিম। ঝিনাইদহ এতিমদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হলেও চালু হয়নি সেটা আমি চালু করব।ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল,প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিল্ডিং তৈরি হলেও সেটা অচল অবস্থায় পড়ে আছে আমি এই সব খুব দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করব। আমি ঝিনাইদহকে একটা মডেল হিসাবে সবার কাছে তুলে ধরবো।ঝিনাইদহকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব।ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা তুলে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করব।প্রতিটি মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করব।সর্বোপরি ঝিনাইদহের উন্নয়ন সকল কাজ করব যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রশ্নঃবর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
সাইদুল করিম মিন্টুঃএখন রমযান মাস তাই বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিতদপরে পাশে থেকে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই।তাছাড়া পৌরসভার দিকে মানুষকে জনবান্ধব করার চেষ্টা করছি।জলোবদ্ধতা দূর করার জন্য শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করছি যাতে কারোর চলাফেরায় বিঘ্ন না ঘটে।ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীকে দূষণ মুক্ত করার কাজ চলছে।নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার কাজ চলছে।শহরে যাতে যানজট না হয় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।সিঙ্গাপুরের মতো নদীতে পার্ক তৈরি করার জন্য চেষ্টা চলছে।মানুষের  বিনোদনের পাশাপাশি নিরাপদে চলাচল করার কাজের মধ্যে ব্যস্ত আছি।