আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া নেতাদের ডেকেছেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী।
গত ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের প্রথম দিন বক্তব্য দিতে এসে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা ভোটাভুটির বদলে সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পর দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতায় আসতে না পেরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও নতুন কমিটির ঘোষণা না আসায় পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছিল এতদিন। তবে আজকের সাক্ষাতের পর কমিটির অপেক্ষা শেষ হবে বলেই বিশ্বাস তাদের।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, কমিটির নতুন নেতাদের সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়েও দিতে পারেন শেখ হাসিনা। অথবা কমিটি পরে ঘোষণা করতে পারেন। বিষয়টা নেত্রীই নিয়ে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে আজ কী হচ্ছে সেদি নিয়ে ধারণা নেই বিদায়ী ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলকে আজ ডেকেছেন। তিনি কী সেখানে ৩২৩জন সকলের সঙ্গে কথা বলবেন, নাকি শুধু আমাদের উদ্দেশ্য কথা বলবেন এটা একমাত্র তাঁর সিদ্ধান্ত।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডেকেছেন। আমরা আশা করছি সেই কমিটি তিনি হয়তো বা সেখানেই উপহার দেবেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অনেক যাচাই-বাচাই হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে অনেক তদন্ত করতে হয়েছে। কিন্তু এখন তা ফাইনাল স্টেজে আছে। আশা করি শিগগিরই এ কমিটি হবে।’
এবার ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে ১১১ ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যে ২১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।