নড়াইল প্রতিনিধি :
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরে থাকা হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বরাদ্দকৃত সরকারের ১০টাকা কেজির চাল নড়াইলের লোহাগড়ায় কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে অবৈধভাবে চাল কেনার অভিযোগে লোহাগড়ায় তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজির চালের ডিলার আশরাফুল আলমের মরণ মোড়স্থ দোকানঘর থেকে পার্শ্ববর্তী বাবরা গ্রামের ভ্যানচালক শহীদ খাঁ (৩৮) ১৫শ’ টাকায় পঞ্চাশ কেজি চাল ক্রয় করে আড়পাড়া গ্রামের মৃত সামাদ জমাদ্দারের ছেলে ছবদুল জমাদ্দার (৫৪) ও একই গ্রামের মৃত শেখ আমিন উদ্দিনের ছেলে রজিবর শেখের (৬৭) কাছে বিক্রি করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখী ব্যানার্জির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করা ৫০ কেজি চাল জব্দ করে ও অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভ্যানচালক শহীদ খাঁকে তিন মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর অভিযুক্ত ছবদুল জমাদ্দার ও রজিবর শেখকে পৃথকভাবে দুই হাজার পাচশ’ টাকা করে মোট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত ) আমানুল্লাহ আল বারী ও এসআই জয়নুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখী ব্যানার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার অপরাধে পলাতক ডিলার আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত ডিলার আশরাফ পলাতক রয়েছেন। তিনি লোহাগড়ার জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের মৃত হেদায়েতের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।