প্রচ্ছদ খেলাধুলা ‘রোনালদোর বাড়িতে কখনও দাওয়াতে যেও না’

‘রোনালদোর বাড়িতে কখনও দাওয়াতে যেও না’

এযাবৎ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যারা খেলেছেন তারা প্রায় সবাই জানেন, খেলার প্রতি এ পর্তুগিজ কতটা অন্তঃপ্রাণ। আর তাদের মধ্যে প্রেটিক এভরার মতো কয়েকজন চাক্ষুষ সাক্ষীও আছেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন এভরা। ক্লাবের ট্রেইনিং শেষে একদিন রোনালদোর বাড়িতে লাঞ্চের দাওয়াত পেয়েছিলেন এভরা। আইটিভিকে সেদিনের ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।

‘ক্রিস্টিয়ানো যদি কাউকে তার বাড়িতে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানান তাহলে আমি ওই অতিথিকে সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিবো।’

‘সে একদিন আমাকে পললো, পেট্রিক, ট্রেইনিংয়ের পরে চলে এসো। আমি গেলাম। স্বাভাবিকভাবেই খুবই ক্লান্ত ছিলাম। টেবিলে দেখলাম শুধু সালাদ আর সাদা মুরগির মাংস। ভাবটা এমন করলাম যে, ঠিক আছে। সঙ্গে পানি ছিলো তবে কোন জুস ছিলো না।’

‘আমরা খাওয়া শুরু করলাম। আমি ভাবছিলাম এরপর আরও ভারি কোন খাবার আসবে কিন্তু আর কিছুই আসলো না। ক্রিস্টিয়ানো শেষ করে উঠে দাঁড়ালো এবং একটি বল নিয়ে খেলতে শুরু করলো। সে বললো, চলো টু-টাচ খেলি।’

‘আমি বললাম, খাওয়াটা শেষ করতে পারবো না? সে বললো, না না, চলো টু-টাস খেলি।’

‘দু’জন একটা বল নিয়ে খেলা শুরু করালাম। কিছুক্ষণ পর সে বললো চল পুলে গিয়ে সাঁতার কাটি। আমি বললাম, ওকে। সেখানে আমি তাকে বললাম, ক্রিস্টিয়ানো আমরা কি এখানে এসেছি কাল আমাদের ম্যাচ আছে এই কারণে নাকি লাঞ্চের জন্য? এই জন্যই আমি সবাইকে বলবো, তার লাঞ্চের দাওয়াতে কেউ যাবেন না। সোজা না বলে দিন। কারণ, এই ছেলেটা মেশিন। সে কখনও ট্রেনিং বন্ধ করতে চায় না।’

রোনালদোকে নিয়ে আরও একটি অভিজ্ঞতার কথা বর্ননা করেন এভরা।

‘একদিন রিও (রিও ফার্দিনান্ড) টেবিল টেনিসে ক্রিস্টিয়ানো হারিয়ে দিয়েছিলো। আমরা সবাই খুব চিৎকার করছিলাম এবং ক্রিস্টিয়ানো খুব বিমর্ষ ছিলো।’

‘এই ঘটনার পর সে তার চাচাতো ভাইকে পাঠিয়ে একটি টেবিল টেনিস সেট কিনে আনালো। দুই সপ্তাহ ট্রেনিং করে তারপর সবার সামনে রিওকে হারালো।’

‘এটাই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই কারণেই আমি এটা ভেবে বিস্মিত হই না যে, কেন সে আরও একটি ব্যালন ডি অর জিততে চায়, কেন বিশ্বকাপ জিততে চায়।’

‘কারণ, সে এ্যাংরি ম্যান।’