প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মৎস্য শিকারীদের অসচেতনতায় হুমকিতে হরিরামপুর রক্ষা বাঁধ

মৎস্য শিকারীদের অসচেতনতায় হুমকিতে হরিরামপুর রক্ষা বাঁধ

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার ভাঙ্গণে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টির অধিকাংশ এলাকাই চলে গেছে নদীগর্ভে। অব্যাহত ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলিজমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন লক্ষাধিক পরিবার।

ভাঙন ঠেকাতে প্রতিবছরই কোটি টাকা খরচ করে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ভাঙ্গণ রক্ষা বাঁধে মৎস্য শিকারীদের নিয়মিত উৎপাতে হুমকিতে হরিরামপুর রক্ষা বাঁধ।

উপজেলার বয়রা, হারুকান্দি ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮ কি.মি এলাকায় পদ্মাপাড় রক্ষাবাধ রয়েছে। এ বাঁধের আন্ধারমানিক খালপাড় বয়রা, দাশকান্দি বয়রা,দড়িকান্দি, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বকচর, আলগীচর, জগনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর, হারুকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর, হারুকান্দি এলাকায় জিও ব্যাগ কেটে চায়না দোয়ারি (জাল), সাধারণ দোয়ারি ও জিও ব্যাগে বাঁশ দিয়ে গর্ত করে ভেশাল (মাছ ধরার জাল) দেয়ায় বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধের আন্ধারমানিক খালপাড় বয়রা এলাকায় হরিরামপুর রক্ষা বাঁধের কয়েক জায়গা ধ্বসে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বয়রা, হারুকান্দি এবং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮ কি.মি এলাকার বাঁধ এলাকায় পদ্মায় হাজার হাজার চায়না, সাধারণ দোয়ারি এবং ভেশাল রয়েছে। বাঁধের উপরের জিও ব্যাগে গর্ত করে ভেশাল ও দিয়েছে।

এম এ রাজ্জাক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমল সরকার বলেন,কয়েকদিন আগে পদ্মা পাড় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে জেলেরা জিও ব্যাগ কেটে চায়না জাল পেতে রাখতে দেখেছি। পদ্মা ভাঙন রোধের জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জেলেদের কারনে বাধঁ হুমকির মুখে।

আন্ধার মানিক ট্রলার ঘাটের মাঝি হাশেম জানান, বাঁধের জিও ব্যাগ কেটে চায়না দোয়ারি (জাল), সাধারণ দোয়ারি ও জিও ব্যাগে বাঁশ দিয়ে গর্ত করে ভেশাল (মাছ ধরার জাল) দেয়ায় বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

বয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুর রহমান তুষার ও হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান চুন্নু বলেন, ‘ বাধের বস্তায় গর্ত করে চায়না দোয়ারি এবং ভেশাল দেয়ায় বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বার বার জেলেদের নিষেধ করার পরেও তারা শুনছেননা। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও জানান তারা।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বাঁধের জিও ব্যাগ কেটে জাল বেঁধে রেখে মৎস্য শিকারীরা মাছ ধরছে এমন খবর জেনেছেন। এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।