প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মৃত্যুর পর পেলেন করোনা পরীক্ষার সিরিয়াল

মৃত্যুর পর পেলেন করোনা পরীক্ষার সিরিয়াল

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সিনিয়র সিটিজেন আব্দুর রাজ্জাক। করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ ভোরে মোহাম্মদপুর থেকে এসেছিলেন শাহবাগে একটি হাসপাতা’লে করো’না পরীক্ষা করাতে।

দীর্ঘসময় লাইনে থাকলেও পরীক্ষার জন্য সিরিয়াল পাননি। অগত্যা বাসার দিকে পা বাড়ান। একটু সামনে যেতেই তার বুকে ব্যাথা ওঠে। একপর্যায়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে সেখানেই মারা যান এই বয়োজ্যেষ্ঠ।

তার সঙ্গে দুই ছে’লে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অসহায়ের মতো ছটফট করে বাবার মৃত্যু দেখা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার ছিল না।

নিহত ব্যক্তির বড় ছেলের অভিযোগ, রাস্তায় পড়ে যখন তার বাবা ধরফর করছেন, তখন বাবাকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন পাশেই থাকা বারডেমের জরুরি বিভাগে। সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। লাশ ঢাকতে একটা কাপড় চেয়েও মেলেনি। অথচ পেশাগত জীবনে রাজ্জাক ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী।

সম্ভবত পুলিশের তত্ত্বাবধানে তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেঁচে থাকতে করোনা পরীক্ষার সিরিয়াল পেলেন না। জীবন দিয়েই আদায় করলেন পরীক্ষা,,,

মারা যাওয়া ব্যক্তির বড় ছেলে জানান, ওই বৃদ্ধ স্ট্রোক করেছেন। আর ছোট ছে’লে ইমনের দাবি, মাস ছয়েক ধরে ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন তার বাবা। কয়েকদিন ধরে জ্বর। তাই এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনার টেস্ট করাতে। রাস্তায় পড়ে যখন ধরফর করছেন তখন বাবাকে বাঁ’চাতে ছুটে গিয়েছিলেন পাশেই থাকা বারডেমের জরুরি বিভাগে। সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। পরে লা’শ ঢাকতে একটা কাপড় চেয়েও মেলেনি। অথচ পেশাগত জীবনে রাজ্জাক ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধ করোনা টেস্ট করতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ বুকে ব্যাথা উঠে সেখানেই মা’রা যান তিনি।’

ওসি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে তার দুই ছে’লেও উপস্থিত ছিল। পরে আমরা তার ছেলেদের সহায়তায় লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে পাঠিয়েছি।’