প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মার্কিন এফ-16 নয়, পাকিস্তান ব্যবহার করেছিল চীনা জেএফ-17

মার্কিন এফ-16 নয়, পাকিস্তান ব্যবহার করেছিল চীনা জেএফ-17

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযানের পর ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে এফ-16 নয়, বরং জেএফ-17 থান্ডার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তান।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের দাবি, বালাকোটের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিমানের যে ধ্বংসাবশেষ প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছিল ভারত, তা আদৌ মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-16 নয়। ওই যুদ্ধবিমান আসলে চীনের সঙ্গে যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি জেএফ-17 থান্ডার-এর অংশ। ওই অভিযানের ফুটেজও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি মেজর জেনারেল গফুরের।

ভারতের দাবি ছিল, এফ-16 যুদ্ধবিমান থেকে এআইএম-120 এএমআরএএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল) ছুড়েছিল পাকিস্তান। ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরও দাবি, এতে যু্ক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই যুদ্ধবিমান কেনার সময় স্বাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। কারণ, ওই চুক্তি অনুযায়ী আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে ওই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা যাবে না। পাকিস্তান আদৌ চুক্তিভঙ্গ করেছে কিনা, তা ইতোমধ্যেই খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে পাকিস্তানের কাছে আরও তথ্যাদি চাওয়া হবে বলে ঘোষণাও করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের দাবি, ওই অভিযানে এফ-16 যুদ্ধবিমান ব্যবহারই হয়নি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। ২৬ ফেব্রুয়ারির ওই অভিযানে জইশ-ই-মুহাম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিগুলো ধ্বংসের দাবি করে ভারত। তবে ভারতের দাবি নাকচ করে পাকিস্তানের পাল্টা দাবি ছিল, ওই অভিযানে কোনও রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে চলে যায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমান। বালাকোট অভিযানের একদিন পরেই ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। ভারতের দাবি ছিল, পাকিস্তানের এফ-16 বিমানের ধ্বংসাবশেষও তাদের মাটিতে পড়েছে।