প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মানিকগঞ্জে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

মানিকগঞ্জে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে মাইকে নাম ঘোষণা আগে-পরে হওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের দুটি পক্ষ। এসময় তাদের হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও। এতে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে শহীদ বেদিতে আসা অনেক মানুষ আতঙ্কে ফুল না দিয়েই ওই এলাকা ত্যাগ করেছেন।

আহত তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সানজিদ কাজল ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জসিম উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এদিন সকাল ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে আসেন। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের পর একে একে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাদা ব্যানারে ফুল দেওয়ার জন্য শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান ফুল দেওয়ার জন্য জেলা শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল জলিলের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগের আরেক নেতা বাবুল সরকারের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন। তখন শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে বাঁশের লাঠি নিয়ে নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু করেন। জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রমিক লীগ নেতা জলিলের পক্ষে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বাবুল সরকারের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান বলেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পরামর্শেই শ্রমিক লীগের নেতা জলিলের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, আমি ফুল দেওয়ার পর সভাপতির বক্তব্য দিয়ে শহীদ মিনার থেকে চলে আসি। পরে অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর শুনেছি। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল রউফ সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।