প্রচ্ছদ হেড লাইন মানিকগঞ্জের ৩টি আসনে বিজয়ী যারা : ধরাশায়ী মমতাজ

মানিকগঞ্জের ৩টি আসনে বিজয়ী যারা : ধরাশায়ী মমতাজ


 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : 

মানিকগঞ্জ ৩টি আসনেই বেসকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীর ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ফলাফলে মানিকগঞ্জ-০১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, মানিকগঞ্জ-০২ আসনে কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এবং মানিকগঞ্জ-০৩ আসনে বিজয়ী হয়েছে জাহিদ মালেক স্বপন।

মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় উপজেলা নিয়ে-১ আসন। এখানে বেসরকারিভাবে ঈগল মার্কা নিয়ে ৮৪ হাজার ৮শ ৯৪ ভোটে পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেলের ৩৮ হাজার ১শ ৯ ভোট পায়।

এই আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৯১ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০৪ জন। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা মাত্র ২ জন। এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিলো ১৮০টি।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (স্বতন্ত্র), তাঁর প্রাপ্ত ভোট- ৮৮,৩০৯। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম (আওয়ামীলীগ), তাঁর প্রাপ্ত ভোট- ৮২,১৩৮।

মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা মিলে-৩ আসন। এখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭শ ২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উদীয়মান সূর্য প্রতীকের গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম কামাল ৫ হাজার ৩শ ৯১ ভোট পায়।

এই আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৪ এবং নারী ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৫ জন। এই আসনের মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিলো ১৪৩টি।

মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের ৫১৬টি ভোট কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারাদিন শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠ ও নিরোপেক্ষ করতে এবং ভোটার দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪০০জন সেনাবাহিনী, ১২৫০জন পুলিশ, ৬২৬৫জন আনসার ,র‌্যাব প্রায় ১০০জন ও ৭৫জন বিজিবিসহ প্রায় ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। এখানে প্রায় ৪০% ভোট হয়েছে।