প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় পুলিশ সদস্যের রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় পুলিশ সদস্যের রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দিয়াবাড়ী গ্রামের মো. আনছার আলী। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। ৩৮ বছর চাকরিজীবন শেষে আজ বুধবার (৪ আগস্ট) ছিলো তার অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার দিন। প্রবীণ এই পুলিশ সদস্যের চাকরিজীবনের শেষ মূহুর্তটি স্মরণীয় করতে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করে হরিরামপুর থানা পুলিশ। সংবর্ধনা শেষে ফুল, বেলুন ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো ওসির সরকারি গাড়িতে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার গ্রামের বাড়িতে।

চাকরি জীবনের শেষ দিনে সহকর্মীদের কাছে থেকে এমন সম্মান পাওয়াতে অভিভূত এ পুলিশ সদস্য। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে থানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনছার আলীকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনছার আলীর হাতে বিদায়ী উপহার তুলে দেওয়া হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে আবেগঘন বক্তব্য দেন হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন, এসআই মো. জালাল হোসেন, এএসআই মো. শহীদুজ্জামান ও কনস্টেবল মো. আমির হোসেন।

মো. আনছার আলী জানান, চাকুরিকালীন সময়ে তিনি ঢাকা মেইন ব্যারাক পুলিশ লাইন, চট্টগ্রাম আরআরএফ, নোয়াখালীর পিটিএস, খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানা, ফরিদপুর পুলিশ লাইন, টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন, মাদারীপুর সদর থানা (ট্রাফিক হিসেবে), সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ, নারায়নগঞ্জ বন্দর থানা, ঢাকা জেলা পুলিশ, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা, রাজবাড়ী থানায় ও সবশেষে নিজ থানা হরিরামপুরে কর্মরত ছিলেন।

বিদায়বেলায় থানা প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন মুহুর্তের তৈরি হয়। সহকর্মী সবাই আনছার আলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন ওসি সৈয়দ মিজানুর রহমান। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মানে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আনছার আলী।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, সত্যিকার অর্থে বিদায়বেলাটা খুব কষ্টের। তাঁর বিদায় মুহুর্তকে স্মরণ করে রাখতেই মূলত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আবেগ আপ্লুত আনছার আলী বলেন, চাকরি জীবন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া অনেক আনন্দের। ওসি স্যারসহ অন্যান্য সহকর্মীরা আমাকে দারুণ সম্মান জানিয়েছেন। ওসি স্যারের গাড়িতে করে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিদায়বেলার এই সম্মান আমার চিরদিন মনে থাকবে।