প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে মারধরের অভিযোগে হরিরামপুর থানার ২ সদস্য আব্দুল জব্বার ও লতিফকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার এবং আহত শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ থাকায় দুই পুলিশ সদস্যকে হরিরামপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আহতের চিকিৎসার সকল খরচ আমি বহন করবো।

হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, দুই পুলিশ সদস্যকে রাতেই হরিরামপুর থানা থেকে এসপি মহোদয় প্রত্যাহার করেছেন। দুই ছাত্রকে মারধরকারি মাসুম ও মামুনের নামে মামলা রুজু হয়েছে। যেকোন সময় তাদের আটক করা হবে। মাসুম নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে। মামুন হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

প্রশঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক পদ্মা নদীর পাড়ে হরিরামপুর থানার বাজার করার কাজের ছেলে মাসুম এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় আটকের চেষ্টা করে।

এসময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রবাসী আন্ধারমানিক গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৪) এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫) প্রতিবাদ করলে মাসুদ ও মামুন তাদের মারধর করে। তারা ফোন করে পুলিশের ২ সদস্য আব্দুল জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনে। এসময় ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সদস্য জব্বার নিজাম উদ্দিনকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং পার্শ্ববর্তী পাশেই সবজির জাংলা থেকে বাঁশ এনে বেধরক মারধর করে। এছাড়াও পুলিশের অপর সদস্য লতিফ ফয়সালকে মারধর করে।