প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মমতা কুর্তা পাঠান, শেখ হাসিনা পাঠান মিষ্টি: মোদি

মমতা কুর্তা পাঠান, শেখ হাসিনা পাঠান মিষ্টি: মোদি

বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অক্ষয়ের সঙ্গে মোদির এ আলাপচারিতায় রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। এখানে উঠে এসেছে মোদির ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, সম্পর্ক ও পরিবারের কথা। অক্ষয়ের করা এক প্রশ্নের জবাবে মোদি জানিয়েছেন, বললে সবাই অবাক হবে, মমতা দিদি (পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি) আমাকে কুর্তা পাঠান। শেখ হাসিনা বিশেষ ধরনের মিষ্টি পাঠান ঢাকা থেকে। যখন মমতা দিদি এটা শুনলেন তখন তিনিও মিষ্টি পাঠানো শুরু করলেন। গুলাম নবি আজাদের (কংগ্রেস নেতা) সঙ্গেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো।

অক্ষয় আরও যা প্রশ্ন করেছিলেন মোদিকে:

প্রশ্ন: আম খেতে ভালোবাসেন?
উত্তর: ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু এখন অনেক মেপে খেতে হয়।

প্রশ্ন: কখনও ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হবেন?
উত্তর: কোনদিনও ভাবিনি দেশকে নেতৃত্ব দেব। যেরকম পরিবার থেকে উঠে এসেছি, আমি যদি ছোট চাকরিও করতাম আমার মা লাড্ডু বিলাতো।

প্রশ্ন: সন্ন্যাসী না সেনা কোনটা হতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: সেনারা আমাকে উদ্ধুদ্ধ করে বেশি।

প্রশ্ন: কখনও রাগ করেন না?
উত্তর: রাগ হয়। কিন্তু জীবনের শুরুর দিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেওয়া হয়। আমাদের সবসময় ইতিবাচক দিকে গুরুত্ব দিতে বলা হত। আগে যখন রাগ করতাম তখন কাগজে গোটা ঘটনাটি লিখে সেটি ছিড়ে ফেলতাম। কিন্তু এখন আর সেটা করি না।

প্রশ্ন: পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান না?
উত্তর: অনেক ছোটবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। তখনই সব কিছু থেকে বন্ধনমুক্ত হয়ে যাই। পরে যখন সময় আসে তখন মাকে নিয়ে আসি। আমি আজও মায়ের কাছ থেকে টাকা নিই। মা আমাকে টাকা পাঠায়।

প্রশ্ন: আলাদিনের চেরাগ পেলে দৈত্যের কাছে কোন তিনটি জিনিস চাইবেন?
উত্তর: দেখুন কঠোর পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কিছু পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন: পোস্ট রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান?
উত্তর: কোনদিনও ভাবিনি। কোনও না কোনও উদ্দেশ্য বা মিশন নিয়ে জীবনটা কাটাতে চাই। তবে অবসরের পর চার ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: ঠাণ্ডা লাগলে কী করেন?
উত্তর: আমি আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করি। নাকে দু’ফোটা সরষের তেল দিয়ে দিই। প্রথমে জ্বালা করে। তারপর ঠিক হয়ে যায়।

প্রশ্ন: নিজের ফ্যাশন সচেতনতা নিয়ে কী বলবেন?
উত্তর: দারিদ্রতার জন্য পরিচ্ছন্ন পোশাক পরাটা স্বপ্নের। এক আত্মীয় প্রথমে জুতো দেয়। তার আগে কোনও জুতো ছিল না। ক্লাস শেষ হবার পর সকলের বেরনো অবধি অপেক্ষা করতাম। সবাই বেরিয়ে গেলে চক দিয়ে জুতোয় ঘষতাম ।

সূত্র: কলকাতা ২৪*৭