প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মমতার জনসভায় উপচেপড়া ভিড়, মোদির জনসভাস্থল ফাঁকা!

মমতার জনসভায় উপচেপড়া ভিড়, মোদির জনসভাস্থল ফাঁকা!

আসন্ন লোকাসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জনসভা করে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, এদিন মমতা ব্যানার্জির জনসভায় উপচেপড়া মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। তাদের দাবি, মানুষের ভরপুর ছিল মোদির জনসভাও। এর মধ্যে একটি শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ। অন্যটি, কলকাতার বিগ্রেড প্যারেড ময়দান। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের খবর, কলকাতার বিগ্রেড প্যারেড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা ফাঁকা ছিল।

এই সময়ের খবরে বলা হয়, ব্রিগেডের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যা হয়নি, এবার তা হল। শামিয়ানা টাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভা করল বিজেপি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। শামিয়ানার নিচে বিজেপি কর্মীরা ভিড় জমালেন বটে। কিন্তু ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের অধিকাংশ জায়গাই পড়ে রইল ফাঁকা। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ মমতা ব্যানার্জিও।

শুধু তাই নয়, বিজেপির উদ্বেগ বাড়ালেন দলীয় কর্মীরাও। গ্রাম থেকে আসা কর্মীদের জন্য ছিল না কোনও খাবারের ব্যবস্থাই। অথচ দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলই। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ব্রিগেডে আসা বীরভূমের প্রায় আড়াই হাজার বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটি দল। সারারাত তারা অভুক্তই থাকেন। এমনকী পানিও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকদের বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। যে কারণে ক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী ব্রিগেডে আসার আগেই সভাস্থল ছেড়ে চলে যান ওই তিন হাজার কর্মী। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, একদিকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ। অন্য দিকে দিনহাটা। কাওয়াখালির বড় মাঠ এ দিন প্রত্যাশা মতোই ভরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। পুলিশ বলছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলা তো বটেই, বিহার থেকেও লোক এসেছিল নরেন্দ্র মোদির সভায়। যদিও এই প্রতিবেদনে কলকাতার বিগ্রেড ময়দানের জনসভার শামিয়ানার বাইরে মানুষের একটি ছবি প্রকাশ করা হলেও সে বিষয়ে ভেতরে দু’একটি শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি।

অন্যদিকে, দিনহাটার মমতার জনসভায় মানুষ ধরে তুলনায় অনেক কম। পঞ্চাশ হাজার। মাত্র দু’দিনের নোটিসে সে মাঠ ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মাঠ উপচে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে। পুলিশের হিসেব মতো তা ষাট হাজারের কম নয়।