প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের বন্ধু নয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ভোট ভোট খেলা শুরু করেছে। এখন ভোট ভোট খেলা চলছে। ভোট ভোট খেলে তাদের অপকর্মগুলো আড়াল করতে চায়।
আজকে নির্বাচনের একটা বাতাস তোলা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটা পত্রিকায় দেখলাম, বিএনপির ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে। তারেক রহমানের টেবিলে ৩০০ নাম কেন? কমপক্ষে ৯০০ নাম আছে। আবার ওই প্রতিবেদনে ৫ থেকে ৬ জনের মৃত মানুষের নামও রয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, যেদিন নিউজটি হয়, ওই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়। উনার কাছে আমি জানতে চাইলাম। আপনি কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেললেন? উনি শুনে, হাসলেন। বললেন, আমি শুনেছি, ৩০০ আসনে। শোনার পড়ে আমি আলমারি ও টেবিল তন্নতন্ন করে খুঁজলাম। কিন্তু কোন নামের তালিকা খুঁজে পেলাম না !
‘উনারা কোথা থেকে পেলেন? উনারা যদি আমাকে একটু দিতেন তাহলে উপকৃত হতে পারতাম। সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে আপনি যদি কথা বলেন তাহলে আমার এই আহ্বানটি জানাবেন।’
কোটা প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, নৃতাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধের নামে কোটা পদ্ধতি অপব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে দেখা যাচ্ছে, সচিবও ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র নিয়ে তার চাকরির মেয়াদ অতিক্রম করছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাসার মধ্য না থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে মাঠে-ঘাটে নামতে হবে। কারণ আন্দোলনের বিকল্প নাই। জনগণ সুযোগ পেলে জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই সুযোগটা সৃষ্টি করতে হবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে। তখন জনগণ যথাযথভাবে সরকারকে উত্তর দিতে সক্ষম হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সোহেল রানা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।