তোফায়েল আহমেদ বলেন, যেহেতু দেশে এখন কোনো শ্রমিক অসন্তোষের কারণ নেই, তাই অ্যাকর্ড বা অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ইউরোপীয় ও মার্কিন ক্রেতাদের সম্মিলিত পরিদর্শন সংস্থা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তারা নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব, ব্যবসায়ীবান্ধব। ব্যবসায়ীরা ভালো আছেন, শ্রমিকরাও ভালো আছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা সব পরিশোধ করবেন। শ্রমিকরা হাসিখুশিভাবেই এবার বাড়িতে যাবেন ঈদ করতে।’
অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স পৃথিরীর কোনো দেশে নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ। ৩১ মে তাঁদের (অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স) মেয়াদ শেষ হচ্ছে চুক্তি অুনযায়ী। গুছিয়ে বা গুটিয়ে নিতে তারা আরো ছয় মাস সময় পাচ্ছে। ৩১ জানুয়ারির পর তারা আর বাংলাদেশে থাকবে না, প্রয়োজনও নেই। ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান এসব দেশে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স নেই। অথচ বাংলাদেশে এদের কার্যক্রম রয়েছে।
রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর হলো, এর পর থেকে দেশে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানার অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয় খুব সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। মালিকরা সচেতন। অনেক কারখানা সবুজ হিসেবে মানদণ্ডে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন ক্রেতারা সন্তুষ্ট। এ অবস্থায় আমাদের নিজস্ব প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা আছে তারাই যথেষ্ট তদারকির জন্য।’ ফলে আসলেই অ্যাকর্ড আর অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।