প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ বৈরী আবহাওয়ায় মাছ শূন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

বৈরী আবহাওয়ায় মাছ শূন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

 

 বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শূন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। উপকূলে ফিরেছে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় হাজারের অধিক মাছ ধরার ট্রলার।

জেলেরা বলছেন, হঠাৎ সাগর উত্তাল ও বাতাস বেড়ে যাওয়ায় সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। আর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছ শূন্য হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটি ঘাট মাছ উঠা-নামায় সরগরম থাকে। কিন্তু এখন সেই ঘাটে নোঙর করা আছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কেউ পাঁচ দিন আবার কেউ সাত দিন ট্রলারে বসে বেকার সময় পাড় করছেন।

এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা হাতিয়া এলাকার মানুষ। বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার না করে কক্সবাজার উপকূলে চলে এসেছি গত সাত দিন হলো। এখন এখানে ট্রলারের উপর বসে আছি। যখন আবহাওয়া ভালো হবে তখন আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাব।

নোয়াখালী জেলার ট্রলার এফবি আল্লাহ’র দান ট্রলারের জেলে হাফেজ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১০ দিন হলো কক্সবাজার উপকূলে ট্রলার নোঙর করা আছে। সাগরের অবস্থা খুবই খারাপ। ঢেউ বেশি ও বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি। মাছ শিকার করা যাচ্ছিল না; তাই উপকূলে চলে এসেছি।

কক্সবাজার মৎস্য

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মাছ রাখার পল্টুন। যেখানে বরফ ভাঙার শব্দ আর মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ বেচাকেনায় জমজমাট থাকত; কিন্তু নেই কোনো বরফ ভাঙার শব্দ। মাছ শূন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। খালি মাছ রাখার বক্সের উপর বসে আছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর মোবাইলে লুডু খেলে সময় কাটাচ্ছেন মৎস্য শ্রমিকরা।

মৎস্য শ্রমিক দিদার বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলে নোঙর করা আছে। যার কারণে মাছ নেই; আমাদেরও কোন কাজ নেই। এখন বেকার বসে আছি।

মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৬৫ দিন বন্ধের পর জেলেরা যখন সাগরে গিয়েছিল তখন প্রচুর এসেছিল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। কিন্তু এখন সতর্ক সংকেতের কারণে ট্রলারগুলো উপকূলে চলে এসেছে। তাই ব্যবসা বন্ধ। এখন কষ্টের মধ্যে রয়েছি।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত ৫দিন ধরে বাঁকখালী নদীর মোহনায় নিবন্ধিত সাড়ে ৪ হাজার নৌযানসহ বিভিন্ন জেলার মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদে উপকূলে অবস্থান করছে। যার কারণে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে একদম মাছ শূন্য। আশা করছি; আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে বৈরী আবহাওয়া কেটে যাবে এবং পুনরায় সাগরে শিকারে যাবে জেলেরা। তখন আবারও মাছ বেচাকেনায় জমজমাট হয়ে উঠবে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যার কারণে গত ৪দিন ধরে কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ১৫০ মিলিমিটার। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি আগামী আরও ৪-৫দিন অব্যাহত থাকবে।