প্রচ্ছদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিড়াল, গরু, ছাগলকেও সংক্রমিত করে করোনা ভাইরাস ! : চীনের গবেষণা

বিড়াল, গরু, ছাগলকেও সংক্রমিত করে করোনা ভাইরাস ! : চীনের গবেষণা

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম : 

আরো ভয়ের খবর দিলেন চীনের ইউনিভার্সিটি অব হুনান-এর গবেষকরা। তারা বললেন, বর্তমানে যে করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টি করেছে, তা শুধু মানুষকেই নয়, সংক্রমিত করতে পারে বিড়াল, গরু, ছাগল, শূকর সহ কমপক্ষে ১০ রকমের প্রাণিকে। এর ফলে বার বার সংক্রমিত হতে পারে মানুষ।

বিশে^র প্রসিদ্ধ প্যারিসের পাস্তুর ইন্সটিটিউট পরিচালিত একটি জার্নালে জমা দেয়া এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা রিপোর্টে এসব কথা বলেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। রিপোর্টটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার আগেই তা দেখতে পেয়েছেন লন্ডনের ডেইলি মেইলের সাংবাদিক। এতে বলা হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব হুনানের গবেষকরা ২৫১টি ভিন্ন ভিন্ন প্রাণির ফুসফুসের গঠন নিয়ে গবেষণা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারা জানার চেষ্টা করেছেন করোনা ভাইরাস বাঁদুর ও মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণিকে সংক্রমিত করতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস শুধু বাঁদুর, প্যাঙ্গোলিন আর মানবজাতিকেই সংক্রমিত করে এমন নয়।

এই ভাইরাস বিবর্তিত হয় এবং সে কমপক্ষে আরো ১০ রকম প্রাণিকে সংক্রমিত করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বিড়াল, গরু, ছাগল, শূকড়, ভেড়া, মহিষ, পায়রা বা কবুতর সহ বেশ কিছু প্রাণি। এর ফলে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে যে, মানুষের দেহ থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণিতে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। তারপর পোষক দেহের ভিতর বংশ বিস্তার করে আরো প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করে আবার মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।

এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট সিং-ই গি। এর আগে তিনি ইমার্জিং ইনফেকশিয়াস ডিজিজেজ বিষয়ে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিসে কাজ করতেন। তাদের জমা দেয়া ওই রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে মাইক্রোবস অ্যান্ড ইনফেকশন জার্নালে। এতে সতর্কতা দেয়া হয়েছে যে, আন্তঃপ্রজাতির মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বড় মহামারির ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে,এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৩ সালের সার্স মহামারির সময়ে। ওই সময় ভাইরাস বাঁদুর থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছিল। প্রজাতিগুলোর ঝুঁকির তালিকা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় প্রাণির গ্রহীতা প্রোটিন সেল এসিই২ এর গঠন নিয়ে কাজ করেছেন। এই একই রকম গ্রহীতার মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। তারপর তা সেলের মেশিনারি ব্যবহার করে নিজের অসংখ্য কপি তৈরি করে। যা অন্য সেলকে সংক্রমিত করে।