প্রচ্ছদ রাজনীতি নির্বাচন বিক্ষোভের মুখে অবশেষে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন

বিক্ষোভের মুখে অবশেষে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন

নড়াইল-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। ওই আসনে কর্নেল সাজ্জাদের পরিবর্তে আলম জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নড়াইল-১ আসনে বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও কর্ণেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেনকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে প্রথমে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কর্ণেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসাবে চিঠি দেওয়া হয়। এমন সংবাদে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কয়েক ঘন্টা পার হতে না হতেই জেলা বিএনপির সাভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে চূড়ান্ত মনোনয়নের আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নড়াইল-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, দির্ঘদিন যাবৎ জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। দলের নেতা-কর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থেকে আর্থিক সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। হঠাৎ করে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন বিতরনের সময় দেখা যায় কর্নেল(অব.) সাজ্জাদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকেও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।

সাজ্জাদ হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভে দলীয় নেতৃবৃন্দ সাজ্জাদ হোসেনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গত ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপল, কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক স. ম. ওহিদুজ্জামান মিলু, কালিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক, নড়াগাতি থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান প্রমূখ।

এসময় বক্তরা দাবি করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম দলের দুঃসময়ে দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতিত বিএনপির নেতা কর্মীদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে আসছে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য। তাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়ার পরও আওয়ামী লীগের লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সে বিএনপির সাথে কোন দিন ই ছিল না, সে আওয়ামী লীগের লোক বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপি থেকে কর্নেল সাজ্জাদদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন বক্তরা।