রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, ‘বহির্বিশ্বের ঘৃণা’ তার দেশের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শারনার বারগেনারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন বলে সু চির ফেইসবুক পাতায় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। মিয়ানমারে সম্প্রদায়গুলোর পারস্পরিক আস্থা অর্জনে সব পক্ষের ধৈর্যশীল থাকা এবং সময় লাগার কথা বলেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর সু চি।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সু চির সঙ্গে বৈঠকে বারগেনার রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের দায়িত্বশীলতার উপরই জোর দিয়েছেন। সু চি তার দেশের দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে বহির্বিশ্বকে দায়ী করলেও সম্প্রদায়গুলোর নাম উল্লেখ করেননি। তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
মুসলিম রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি মিয়ানমারে খ্রিস্টান আদিবাসী সম্প্রদায়ও জাতিগত নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। সু চি তার দেশের সমস্যা নিরসনে পেছনে না ফিরে সামনের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সু চি ও তার সরকার রাখাইনে সহিংসতায় অমুসলিম যারা বাস্তচ্যুত হয়েছেন, তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এলেও মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করে আসছে।