প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরানোর উপায় খুঁজছে কানাডা

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরানোর উপায় খুঁজছে কানাডা

কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে আইনি জটিলতা নিরসনে কাজ করছে কানাডা।

দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই কথা জানিয়েছেন কানাডার নেতা জাস্টিন ট্রুডো।

স্থানীয় সময় রবিবার দুপুরে কুইবেকে হোটেল চাতিউ ফ্রন্তেনায় ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কানাডা সফরে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর চেষ্টা হবে, এ বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল। আর ট্রুডোর কাছে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, নূর চৌধুরী আত্মস্বীকৃত খুনি, বাংলাদেশের আদালতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত। তিনি কানাডায় বাস করছেন। একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কানাডার উচিত একজন খুনির আদালতের সাজা কার্যকর করতে সহায়তা করা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগ। এরও ১৪ বছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফাঁসি কার্যকর হয় পাঁচ জনের।

উচ্চ আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল মোট ১২ জনকে। দণ্ড কার্যকর হওয়া পাঁচ জন বাদে বাকিদের মধ্যে আজিজ পাশা মারা গেছেন বিদেশে। আর আবদুর রশিদ, মোসলেম উদ্দিন, শরীফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী এবং আবদুল মাজেদ পলাতক। এদের মধ্যে কানাডায় রাশেদ চৌধুরীর অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত।

কিন্তু দেশটি মৃত্যুদণ্ডবিরোধী হওয়ায় তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। আর এই বিষয়টি নিয়েই তাকে ফেরানোর জটিলতা রয়েছে।

এই বিষয়টির উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে ট্রুডো বলেন, ‘আমি আপনার কষ্টটা বুঝি। এ বিষয়ে কী করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করছে কানাডার কর্মকর্তারা।’

কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশে নূর চৌধুরীর নাগরিকত্ব নেই।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও স্থান পেয়েছে।

গত আগস্টে বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ শুরু হয়। তাদেরকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা নানা সময়ই করেছে কানাডা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও আছে দেশটির।

রোহিঙ্গা সংকটে পাশে দাঁড়ানোর জন্য কানাডিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জাস্টিন ট্রুডোও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দিতে তার সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।