প্রচ্ছদ অর্থনীতি প্রবাসী আয় ব্যাপক কমে গেছে : সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে

প্রবাসী আয় ব্যাপক কমে গেছে : সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসী আয় ব্যাপক কমে গেছে। সদ্যবিদায়ী মাসটিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ (প্রায় ১.৫৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার; যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রোববার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে গত বছরের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।

চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সব মাসে সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। শুধু তাই নয়, এই মাসগুলোতে দুইবার দেশে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৩ কো‌টি ৭৮ লাখ ডলার এবং জুলাইয়ে এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ১২৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরপর যথাক্রমে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ২৮ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭২ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৪১ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অন্যদিকে, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাসে ৬১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রাবসীরা।

প্রসঙ্গত, প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তা সত্বেও ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের (২০২০-২১) অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে।

গত অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।