প্রচ্ছদ খেলাধুলা প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জেতার আনন্দে বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জেতার আনন্দে বাংলাদেশ

প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টও আড়াই দিনে জিতে নিল বাংলাদেশ। তবে প্রথম টেস্টের চেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট জেতাটাই বেশি আনন্দ দেবে বাংলাদেশি সমর্থকদের। কেননা, এই টেস্ট জয়ের মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জেতার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি স্পিনারদের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানেই গুটিয়ে গেছে উইন্ডিজ। ফলে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে উইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সাদা পোশাকে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একবারই প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে। সেবার অবশ্য জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন করায়নি স্বাগতিকরা। ফলে ইনিংস ব্যবধানে জেতার সুযোগও হয়নি।

এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ। জিম্বাবুয়েকে না করালেও এবার উইন্ডিজকে ঠিকই ফলোঅন করিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল করে ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ।

এই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। সবমিলিয়ে মিরাজের ঝুলিতে জমা পড়েছে ১২ উইকেট। এ ছাড়া সাকিব (প্রথম ইনিংসে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে একটি) ৪টি, তাইজুল তিনটি ও নাঈম পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

ইতি টানলেন তাইজুল

শেষ উইকেট জুটিতে যেন গেড়ে বসেছিলেন শেরমন লুইস ও কেমার রোচ। দুজন মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। অবশেষে লুইসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন তাইজুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের পঞ্চম শিকার ওয়ারিকেন

আগের ওভারে ফিরিয়েছিলেন হিটমেয়ারকে। এবার মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার জোমেল ওয়ারিকেন। মিরাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বল চিপ করতে চেয়েছিলেন ওয়ারিকেন। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকমতো হয়নি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে এটা মিরাজের পঞ্চম শিকার। সবমিলিয়ে ১২তম শিকার।

হিটমেয়ারের শিকারী মিরাজ

চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংস ও মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংস। সবমিলিয়ে চার ইনিংসেই শিমরন হিটমেয়ারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

দ্বিতীয় ইনিংসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন হিটমেয়ার। ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির পর হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। মিরাজকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। তবে এবার ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। লং অনে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ধরা পড়লেন ৯২ রান করা হিটমেয়ার।

দ্বিতীয়বারের মতো মিরাজের ১০ উইকেট

ইনিংসের ৪২তম ওভারের চতুর্থ বল। মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্টাম্পের বাইরের বলটি কাট করতে চেয়েছিলেন দেবেন্দ্র বিশু। কিন্তু এজ হয়ে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। দুর্দান্তভাবেই ক্যাচটি তালুবন্দী করেছেন সৌম্য সরকার। এটা দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের তৃতীয় শিকার। সবমিলিয়ে ১০ম শিকার।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরলেন মিরাজ। ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়ার এমন জোড়া কীর্তি আর কেবল সাকিব আল হাসানেরই রয়েছে।

নাঈমের শিকার ডওরিচ

প্রথম ইনিংসে নাঈম হাসান বল করেছিলেন তিন ওভার। যদিও দেখা পাননি উইকেটের। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে সাফল্য পেয়েছন এই সিরিজ দিয়েই অভিষেক ঘটা ডানহাতি এই অফস্পিনার। নাঈমের এঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বলটি সামনে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ডওরিচ।

টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলটি ডওরিচের ব্যাট ছুঁয়ে যায়। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার অনায়াসেই লুফে নেন ক্যাচটি। আউট হওয়ার আগে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ১৮ বলে করেন তিন রান।

হিটমেয়ারের হাফ সেঞ্চুরি

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই লড়ছেন শিমরন হিটমেয়ার। ৫৮ বলে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এই সময়ে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৪টি।

শাই হোপকে ফেরালেন মিরাজ

ইনিংসের ২৮ তম ওভারের চতুর্থ বল। মেহেদী হাসান মিরাজের করা বলটি ড্রাইভ করেছিলেন শাই হোপ। মিড উইকেটে দাঁড়ানো সাকিব আল হাসান অনায়াসে বলটি তালুবন্দী করেন। ৭৫ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলেন হোপ। এই ইনিংসে এটা মিরাজের দ্বিতীয় উইকেট।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৯ উইকেট

দুর্দান্ত বোলিংয়ে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা শুধুই বাংলাদেশের। এই সেশনে উইন্ডিজের দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশি স্পিনাররা তুলে নিয়েছে ৯ উইকেট।

৫ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা সফরকারীরা মিরাজ-স্কাইবের স্পিন ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। ফলো অনে পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বস্তিতে নেই সফরকারীরা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে উইন্ডিজ স্কোরকার্ডে জমা করেছে ৪৬ রান। হারিয়েছে চার উইকেট।

তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার রোস্টন চেজ

টানা দুই ওভারে দুই উইকেট পেলেন তাইজুল ইসলাম। আগের ওভারে ফিরিয়েছিলেন সুনীল আমব্রিসকে। এবার বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার রোস্টন চেজ।

তাইজুলের বলে ড্রাইভ করেছিলেন চেজ। দুর্দান্তভাবেই নিচু ক্যাচটি লুফে নেন এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো মুমিনুল হক। আউট হওয়ার আগে তিন রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।

এবার তাইজুলের আঘাত

প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে আঘাত হানেন এই দুই স্পিনার। তবে তৃতীয় আঘাতটি হানলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিয়েছেন সুনীল আমব্রিসকে।

তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন চার রান করা আমব্রিস। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।

সাকিবের পর মিরাজের আঘাত

প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছিলেন সাত উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ডানাহতি এই অফস্পিনারের বলে ধুঁকছে উইন্ডিজ। চতুর্থ ওভারে মিরাজের করা শেষ বলে সামনে এগিয়ে এসে শট খেলতে চেয়েছিলেন কাইরন পাওয়েল। কিন্তু টাইমিং হয়নি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে।

বল ধরেই স্টাম্প ভেঙ্গে দেন মুশফিক। সাজঘরে ফিরে যান পাওয়েল। আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার করেন ছয় রান।  দ্বিতীয় ইনিংসে এটা মিরাজের প্রথম উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেও সাকিবের আঘাত

প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারে উইন্ডিজ অধিনায়ক ও ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে ফিরিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেও ব্রাথওয়েটকে ফেরালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

প্রথম ইনিংসে বোল্ড হলেও এবার সাকিবের বল এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।

প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ

১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একবারই প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে। সেবার অবশ্য জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন করায়নি স্বাগতিকরা। ফলে ইনিংস ব্যবধানে জেতার সুযোগও হয়নি।

এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ। জিম্বাবুয়েকে না করালেও এবার উইন্ডিজকে ঠিকই ফলোঅন করাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জেতার হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ১১১ রানে থামলো উইন্ডিজ

মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে ১১১ রানেই গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ। দশটি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন মিরাজ-সাকিব। মিরাজের ঝুলিতে জমা পড়েছে সাতটি আর সাকিব নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

শেষ আঘাত সাকিবের

উইন্ডিজের শেষ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরালেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন শেরমান লুইস। কিন্তু বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আবেদন জানাতেই সাড়া দেন আম্পায়ার। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন শেরমান। কিন্তু তবুও বাঁচতে পারেননি তিনি।

মিরাজের সাত আর সাকিবের তিন উইকেটে উইন্ডিজ গুটিয়ে গেল ১১১ রানেই।

রোচকে ফিরিয়ে মিরাজের ছয়

টানা তিন ওভারে উইকেট নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্পিনারকে উড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন কেমার রোচ।

মিরাজকে স্লগ করে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কেমার রোচ। কিন্তু টাইমিং হয়নি। অনায়াসে বুটি তালুবন্দী করেন লিটন দাস। এটা মিরাজের ষষ্ঠ উইকেট। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থবারের মতো ছয় উইকেট পেলেন মিরাজ।

মিরাজের পঞ্চম শিকার

টানা দুই ওভারে মেহেদী মিরাজের উইকেট। ডানহাতি এই অফস্পিনারের বলে কাট করেছিলেন দেবেন্দ্র বিশু। বল গিয়ে লাগে সোজা সিলি পয়েন্টে সাদমানের বুকে। সেখান থেকে জমে যায় হাতে। সাজঘরে ফিরে যান বিশু। এটা মিরাজের পঞ্চম উইকেট। ১৮ টেস্টে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো পাঁচ উইকেট হলো তার।

দিনের শুরুতে মিরাজের আঘাত

আগের বলেই এলবিডব্লিউর আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে পরের বলে আর বাঁচতে পারেননি তিনি। মেহেদী মিরাজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শিমরন হিটমেয়ার। এই ইনিংসে এটা মিরাজের চতুর্থ শিকার।

আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৩৯ রান করেন হিটমেয়ার। তার আউটের মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে ৫৭ রানের জুটি।

দিন শেষে বিপাকেই উইন্ডিজ

২৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন হিটমেয়ার ও শেন ডওরিচ। দুজন মিলে নিরাপদে কাটিয়েছেন দিনের বাকি সময়। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়েছেন ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। হিটমেয়ার ৩২ ও ডওরিচ ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। দিন শেষে করিবীয়দের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৫ রান।

রান পাহাড়ের জবাবে স্পিন বিষে নীল উইন্ডিজ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫০৮ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশি স্পিনারদের স্পিন বিষে নীল হয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

দলীয় ২৯ রানের মধ্যে এই দুই স্পিনার মিলে তুলে নেন ক্যারিবীয়দের পাঁচ উইকেট। এর মধ্যে সাকিব দুটি এবং মিরাজ নেন তিন উইকেট। উইন্ডিজের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই বোল্ড হন।

মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে বাংলাদেশের ৫০৮

সহঅধিনায়কের ব্যাটে চড়ে প্রথম ইনিংসে ১৫৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ৫০৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১৩৬ রান। টেস্টে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এ ছাড়া ৩৯ বলে ৬ চারে ৮০ রান করেন অধিনায়ক সাকিব।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচশ’ রান করল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে এই শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই উইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫৬ রান করেছিল বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

উইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (অধিনায়ক), কাইরন পাওয়েল, শাই হোপ, শিমরন হিটমেয়ার, রোস্টন চেজ, সুনীল আম্ব্রিস, শেন ডওরিচ, শেরমান লুইস, জোমেল ওয়ারিকেন, কেমার রোচ ও দেবেন্দ্র বিশু।