প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ তারেকের ধারণা ‘বিএনপিকে কিনে’ খুলনায় জিতেছেন খালেক

তারেকের ধারণা ‘বিএনপিকে কিনে’ খুলনায় জিতেছেন খালেক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্বাসই করতে পারছেন না, খুলনাতে এভাবে বিএনপি হেরেছে। তারেক মনে করেন, কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করেও এত ব্যবধান করা সম্ভব না। বরং তাঁর ধারণা, স্থানীয় বিএনপিকে ‘কিনে’ নিয়ে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে।

আজ বুধবার (১৭মে) দুপুরে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে টেলিফোনে তারেক এই ধারণার কথা বলেছেন। বিএনপির একাধিক সূত্র, দলের মহাসচিবের সঙ্গে তারেক জিয়ার টেলিফোন আলাপের কথা নিশ্চিত করেছে।

লন্ডনে অবস্থানরত তারেক মনে করেন, একটা দুইটা বা ১০টা কেন্দ্র পর্যন্ত কারচুপি হতে পারে। কিন্তু তাতে এত ব্যবধান হবার কথা নয়। তাছাড়া কর্মীরা যদি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিত তাহলে কারচুপি হলেই তো হৈ চৈ হতো, সহিংসতা হতো।

তারেকের প্রশ্ন, এত ভোট আওয়ামী লীগ ব্যালট বাক্সে ভরাল আর কর্মীরা ঘুমিয়ে থাকল? একাধিক বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, এভাবে কারচুপি করা সম্ভব না। যে দু চারটা কেন্দ্রে এরকম ঘটনা ঘটেছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছে, প্রতিরোধ করেছে।

দলের মহাসচিবও মনে করেন, বেশ কিছু কেন্দ্রের এজেন্ট আওয়ামী লীগের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও মনে করেন, খুলনার পুরো নির্বাচনটা রহস্যে ঘেরা। বিএনপির এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া এরকম কারচুপি করা সম্ভব না। তিনিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলেছেন, প্রশাসন ও পুলিশ যতই পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করুক, ব্যালট বাক্স ভরানো বিএনপির এজেন্টদের আড়ালে হওয়া অসম্ভব।

তিনিও মনে করেন, হয় ভোট মোটামুটি নিরপেক্ষ হয়েছে অথবা এজেন্টদের ম্যানেজ করে এটা করা হয়েছে। ভোটের পর বিএনপি মহাসচিব খুলনার নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাতেও তিনি জেনেছেন যে, ৮ থেকে ১০টি কেন্দ্রে দৃশ্যমান অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকি কেন্দ্রে ভোটের এমন পার্থক্য কেন, সেই হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ।

বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়াকে বলেছেন যে ৭০ টি কেন্দ্রে তিনি ভোটের হিসাব নিয়েছেন যেখানে বিএনপির এজেন্টরা ছিল, ভোট নিয়ে তাঁদের কোনো অভিযোগও ছিল না, সেখানে বিএনপির ভরাডুবি ঘটেছে। বিএনপি মহাসচিব এদের সন্দেহ করছেন।

তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন অনেক বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। সব মিলিয়ে একটি বড় অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। তারেক জিয়া খুলনা নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।