এস.ডি সাগর, জয়পুরহাটঃ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা না দিলে পাওয়া যায় না ট্রেনের টিকিট। জয়পুরহাট রেল স্টেশনে প্রতিনিয়ত ঘটছে এই অনিয়ম ও দূর্নীতির ঘটনা। সাধারণ যাত্রীরা টিকেট নিতে এসে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন নিয়মিত। ভূক্তভুগী যাত্রীদের অভিযোগ টিকিট কাউন্টারে টিকিট কিনতে গেলে (আসন) টিকিট নেই বলে জানানো হয়। অথচ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী টাকা তাদের সিন্ডিকেটের লোকদের মাধ্যমে দিলে টিকিট পাওয়া যায়।
রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে জয়পুরহাট শহরের চিত্রা পাড়া এলাকার রেজা ঢাকা যাওয়ার জন্য রাতের একটি টিকিট চান ,কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আঃ মালেক তাৎক্ষনিকভাবে জানান, ১৭ তারিখ পযর্ন্ত ঢাকার কোন (আসন) টিকিট নেই, তাকে অনুরোধ করলেও জানান কোন আসন নেই। অথচ স্টেশনে অবস্থানরত একজন পানের দোকানদার ৫ শত টাকা নিয়ে টিকিট কিনতে গেলে ৪ শত ৪০ টাকা নিয়ে একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) টিকিটের সিরিয়াল নংÑ ঔণচ০০৮৮০৪১৫ এবং আসন নং- ট ৪০ একটি টিকিট বের করে দেয়।
বিষয়টি স্টেশন মাস্টার মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের নিকট অবহিত করলে সঙ্গে সঙ্গে আঃ মালেককে ডাকেন, আঃ মালেক ৪০ টাকা বেশী নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও ভূল হয়েছে বলে জানান।
জয়পুরহাট শহরের মুজিব নগরের সনজিৎ, দক্ষিণ দেওয়ান পাড়ার আঃ কুদ্দুস ভুট্টু, আদর্শ পাড়ার মেহেদী হাসান সহ এলাকাবাসীরা জানান, জয়পুরহাট রেলের টিকিট একটি সিন্ডিকিটের মাধ্যমে পরিচালিত হয় আর এই সিন্ডিকেট টিকিট কাউন্টার মাস্টার মনিরুল করিম মুন সহ টিকিট কাউন্টারের সবাই জড়িত। অতিরিক্ত টাকা (১০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত) যার কাছে যেমন আদায় করে সাধারণ যাত্রীদের নিকট ঢাকার টিকিট বিক্রি করে। আমরা জয়পুরহাটবাসী এই অনিয়ম ও দূনীর্তি বন্ধ করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করেছি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার মাস্টার মুনিরুল করিম মুন মুঠো ফোনে বলেন, আমার বিরুব্ধে যে অভিযোগ এসেছে তা সত্য নয়, যারা টিকিট পায়না সেসব ব্যক্তি এ অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে জয়পুরহাট রেল স্টেশন মাস্টার মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এবং আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
