বিকেলের ক্লান্তি টেস্টের গায়ে লাগতে দিলো না বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করল মাহমুদুল্লাহর দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ। বাঁচাল সিরিজ। এছাড়া এই জয় জুগিয়েছে দুয়ারে কড়া নাড়া উইন্ডিজ সিরিজের আত্মবিশ্বাসের কাঠখড়।
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে জয়ের কাজটা একটু এগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। তুলে নিয়েছিল ২ উইকেট। এরপর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ টেস্টের শেষ দিনের শুরুতে আরও দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। পরে পিটার মুর-চাকাভারা হুড় মুড়িয়ে আউট হয়ে যান। তবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন টেইলর।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে দুই ওপেনার মাসাকাদজা এবং ব্রেইন চেরি ঝড়ো শুরু করেন। কোন উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলেন ৬৮ রান। তবে রোদমরা বিকেলে মিরাজ-তাইজুল দুই ওপেনারকে তুলে নেন। শেষ দিনে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬৭ রান। আর বাংলাদেশের দরকার ছিল ৭ উইকেট।
এর মধ্যে সকালের সেশনে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন শন উইলিয়ামস। এরপর তাইজুল ফেরান সিকান্দার রাজাকে। এরপর মুরকে ফেরান মিরাজ। আর চাকাভা রান আউটে কাটা পড়েন। তবে ৮৯ রানে ব্যাট করছেন টেইলর।
এর আগে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের সামনে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। এরমধ্যে প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ চাইলে ফলোঅন করাতে পারতো জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু পঞ্চম দিনে ব্যাট করার ঝুঁকি নেননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে মিঠুনের ফিফটি এবং মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
দলের হয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রানের জুটি গড়েন। মিঠুন থামেন ৬৭ রানে। তবে মাহমুদুল্লাহ আট বছরেরও বেশি সময় পরে (১০১ রান) সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ফিফটি পাওয়া মেহেদি মিরাজ খেলেন ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস। জিম্বাবুয়ে তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সেঞ্চুরি করেন টেইলর। এছাড়া পিটার মুর করেন ৮৩ রান।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২২ রান করে ইনিংসে ঘোষণা করে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে মুশফিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পান। অপরাজিত থাকেন ২১৯ রানে। মুমিনুল করেন ১৬১ রান। বল হাতে ১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। এছাড়া মেহেদি মিরাজ নেন ৩টি ও আরিফুল হক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট পান।