প্রচ্ছদ রাজনীতি ‘জাতীয় নির্বাচনের ইস্যু তৈরি করতেই বিএনপির ভোট বর্জন’

‘জাতীয় নির্বাচনের ইস্যু তৈরি করতেই বিএনপির ভোট বর্জন’

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজেরাই গোলযোগ তৈরি করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইস্যু তৈরির কৌশল হিসেবেই ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তিনটি সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থীরা নিজেদের লোক দিয়ে গোলযোগ করার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করা ছিল বিএনপির মূল টার্গেট।’

‘বিএনপি নির্বাচনে চাঞ্চল্যকর কোনো ঘটনা ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইস্যু সৃষ্টির অংশ হিসেবে নির্বাচন বর্জনের কৌশল গ্রহণ করে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার বিকেলে তিন সিটির ভোট শেষে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যেআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

আজ সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে একযোগে ভোটগুহণ শুরু হয়। ভোট চলে টানা ৪টা পর্যন্ত। এ সময় বরিশাল সিটির বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানকার একটি কেন্দ্র অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের দুটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। সেখানকার বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। রাজশাহীর ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। ভোট শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আবার প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে ইসির পক্ষে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়।’

তবে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা দাবি করেছেন, সেখানে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। দুপুরে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, তিন সিটিতে ভোটের উৎসব বিরাজ করছে।

বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবালোকের মতো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে। কেউ যদি প্রতিযোগিতায় জিততে না চায় এবং প্রতিযোগিতাকে ভেস্তে দিতে তাহলে কারো কি কিছু করার থাকে?’

‘কেউ যদি স্রেফ অভিযোগের পসরা সাজিয়ে মিথ্যাচার করা শুরু করে, অভিযোগ করা শুরু করে এবং অভিযোগের ক্ষেত্র তৈরির জন্য নিজেরাই মরিয়া হয়ে উঠে, এবং মিডিয়াকে ফাঁদে ফেলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার সর্বাত্মক চেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে জনগণ কী করতে পারে? হ্যাঁ, জনগণ পারে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচন বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রায় দিতে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, রাজশাহীতে বিএনপির প্রার্থী ভোট না দিয়ে সারাদিন কেন্দ্রের সামনে নাটক করেছেন। আর তা মিডিয়াতে দেখিয়ে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছে।’

‘বরিশালে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বাড়ির সামনের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার নির্বাচনের গোলযোগের সূত্রপাত করেন। গণমাধ্যমে সাংবাদিক বন্ধুরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। বরিশালের বিএনপির প্রার্থী গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন, পুরোটা দেখে মনে হয়েছে তিনি নির্বাচন বানচাল করায় লিপ্ত তিনি’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।